
ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। এতে রাতারাতি দেশে বাজারে কেজিপ্রতি অন্তত ২০ টাকা বেড়ে গেছে এ পণ্যটির। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পেঁয়াজ রফতানির ওপর এই শুল্ক বহাল থাকবে।
জানা গেছে, এতদিন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে কোনো শুল্ক দিতে হতো না বাংলাদেশকে। গতকাল হঠাৎ পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয় দেশটি। দেশটির বাজারে পেঁয়াজের দামের নাগাল টানতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানানো হয়।
আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, এতে আমদানি অব্যাহত থাকলেও দাম কিছুটা বাড়বে। ইতোমধ্যে দেশের বাজারে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। আমদানি জাতের দাম মানভেদে ৫ টাকা বেড়ে ৭০ থেকে ৭২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা দোকানে আজ কেজিপ্রতি পেঁয়াজ ৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সবশেষ ভারত থেকে ৩৮ থেকে ৪৬ টাকায় পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। শুল্ক আরোপের পর কেজি প্রতি ৫৩ থেকে ৬৫ টাকা পর্যন্ত খরচ পড়বে।
এদিকে ভারত থেকে এখনো বাড়তি দামে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেননি ব্যবসায়ীরা। তারপরও কেবল শুল্ক আরোপের খবর শুনেই দেশের বাজারে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন তারা।
এর আগে ভারত সরকার স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়াতে নিজস্ব মজুত থেকে তিন লাখ টন বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দেয়। গতকাল হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৪১টি ট্রাকে এক হাজার ২০৬ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। নাসিক ও ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ আমদানি বেশি হচ্ছে।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, শুল্ক আরোপের ঘোষণাতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের স্বভাব এমনই। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তি দামের পণ্য দেশে আসার আগেই দাম বাড়িয়ে দেন তারা।