ডিসেম্বর ১১, ২০২৪

বুধবার ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্র-কানাডায় তীব্র ধোঁয়া মানুষকে মাস্ক পরার পরামর্শ

যুক্তরাষ্ট্র-কানাডায় তীব্র ধোঁয়া মানুষকে মাস্ক পরার পরামর্শ
যুক্তরাষ্ট্র-কানাডায় তীব্র ধোঁয়া মানুষকে মাস্ক পরার পরামর্শ। ছবি: সংগৃহীত

ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে কানাডা। এই দাবানলের কারণে কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রে ১০ কোটির বেশি মানুষ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে আছেন। তীব্র দাবানলে বাতাসের মান খারাপ হওয়ায় উত্তর আমেরিকার লাখ লাখ মানুষকে ঘরের বাইরে বের হলে এন৯৫ মাস্ক পরার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হচুল বুধবার বলেন, বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের মধ্যে ১০ লাখ মাস্ক বিতরণ করা হবে। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এটা একটা সাময়িক অবস্থা। এটা কোভিড নয়।

এদিকে দাবানল পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর সঙ্গে কথা বলেছেন। বিধ্বংসী এই দাবানল মোকাবিলায় অতিরিক্ত সহায়তা দেওয়ারও প্রস্তাব দেন তিনি। পরবর্তীতে এক টুইট বার্তায় বাইডেনকে ধন্যবাদ জানিয়ে ট্রুডো বলেন, এই আগুন প্রতিদিনের জীবন-জীবিকা এবং আমাদের বায়ুর মানকে প্রভাবিত করছে। দাবানলের কারণে বাতাসের মান খারাপ হওয়ায় উত্তর আমেরিকার লাখ লাখ মানুষকে ঘরের বাইরে এন৯৫ মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

কানাডিয়ান ন্যাশনাল ফায়ার ডেটাবেস অনুসারে, ৩৮ লাখ হেক্টরের বেশি অর্থাৎ নিউ জার্সির প্রায় দ্বিগুণ এলাকা এখন পর্যন্ত পুড়ে গেছে। যা বছরের এই সময়ে গত ১০ বছরে হওয়া গড় দাবানলের তুলনায় ১২গুন বেশি।

নিউইয়র্ক শহর হলুদাভ ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন, দিনদুপুরে অস্পষ্ট স্ট্যাচু অব লিবার্টি। ঘন ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে সব। আমেরিকার ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস প্রায় পুরো আটলান্টিক উপকূল জুড়ে এয়ার কোয়ালিটি এলার্ট জারি করেছে। ভারমন্ট থেকে সাউথ ক্যারোলাইনা এবং ওহাইয়ো থেকে ক্যান্সাস পর্যন্ত স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করা হয়। এই বিস্তীর্ণ এলাকার লোকজনকে ঘরের মধ্যে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে, পাশাপাশি তাদেরকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, বায়ুমণ্ডলে নানা ধরনের ময়লা ও ধূলিকণা যুক্ত থাকার কারণে এই ধোঁয়া শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে।

কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, বিপজ্জনক এই ধোঁয়াটে অবস্থা পুরো সপ্তাহ ধরে চলতে পারে। বেশিরভাগ ধোঁয়া কুইবেক থেকে আসছে- যেখানে ১৫০টির বেশি আগুন জ্বলছে।

কানাডার কর্মকর্তারা বলেছেন, দেশটিতে সবচেয়ে খারাপ দাবানলের মৌসুম রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে। এর পেছনে তুলনামূলক বেশি গরম ও শুষ্ক বসন্তকালকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই অবস্থা গ্রীষ্মকালজুড়েও অব্যাহত থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কানাডার পরিবেশ বিভাগ বলছে, বৃহস্পতিবার টরেন্টোর অবস্থা আরও খারাপ হবে। কারণ আরো বেশি ধোঁয়া বাতাসে ছড়িয়ে পড়বে। বৃধবার এক বিশেষ আবহাওয়া বুলেটিনে সংস্থাটি বাইরে থাকা সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে।