নভেম্বর ১৫, ২০২৪

শুক্রবার ১৫ নভেম্বর, ২০২৪

যাত্রীকে পুলিশে দেওয়ার কারণ জানালেন বিমান

Rising Cumilla - Biman Bangladesh Airlines
ছবি: সংগৃহীত

ফ্লাইটে কেবিন ক্রুদের সাথে সহিংস আচরণ করায় একজন যাত্রীকে পুলিশে দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।

সোমবার (১১ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক বোশরা ইসলামের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ব্যাখ্যা দেয় সংস্থাটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর বিমানের ফ্লাইট বিজি ২০৮ ম্যানচেস্টার থেকে সিলেট হয়ে ঢাকায় অবতরণ করে। ফ্লাইটটির সিলেটগামী একজন যাত্রী কেবিন ক্রুদেরকে বারবার ডাকতে থাকেন এবং খাবার দিতে বলেন। কেবিন ক্রুরা তাকে নির্ধারিত মিলের বাইরেও বেশ কয়েকবার খাবার ও ড্রিংকস সরবরাহ করে।

এতে আরও বলা হয়, পরবর্তীতে তিনি কিছুক্ষণ পরে আবারও একজন কেবিন ক্রুকে ডাকেন। সেই ক্রু তখন ফ্লাইটের অন্য যাত্রীদেরকে খাবার পরিবেশনে ব্যস্ত থাকায় আসতে কয়েক মিনিট দেরি হয়। এ কারণে সেই যাত্রী উত্তেজিত হয়ে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন এবং দায়িত্বরত কেবিন ক্রুকে অশালীন ও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি সেই নারী কেবিন ক্রুকে ধাক্কা দেন এবং গায়ে হাত তোলেন। তখন একজন পুরুষ কেবিন ক্রু তাকে নিবৃত করতে গেলে সেই যাত্রী তার টাই টেনে ছিঁড়ে ফেলেন। এসময় আশেপাশের অন্যান্য যাত্রীরা তাকে থামাতে গেলে তিনি তাদের ওপরও ক্ষিপ্ত হন এবং গালিগালাজ করেন। শারীরিক ভাবেও হেনস্তা করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরে কেবিন ক্রুরা বিষয়টি পাইলটদেরকে অবহিত করলে ক্যাপ্টেন সেই যাত্রীকে বুঝিয়ে সিটে বসানোর নির্দেশ এবং ঘোষণা দেন যদি তিনি নিবৃত না হন তাহলে ফ্লাইটটিকে নিকটস্থ অন্য কোন এয়ারপোর্টে জরুরি অবতরণ করানো হবে। পাশাপাশি কেবিন ক্রুদের ডিউটি পজিশনও পরিবর্তন করে দেয়া হয়।

বিমান বলছে, কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম প্রচার করছেন তাকে যথাযথ খাবার দেয়া হয়নি। এটি ঠিক নয়। ফ্লাইটের যাত্রীদের নিয়মানুযায়ী সবধরনের সার্ভিস সময়মতো দেওয়া হয়েছে এবং সেই যাত্রীকে নির্ধারিত মিলের বাহিরেও অতিরিক্ত সার্ভিস প্রদান দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রচার করা হচ্ছে ফ্লাইটের ভেতর যাত্রীকে বেঁধে রাখা হয়েছে, যা সঠিক নয়। যাত্রীকে নিবৃত করতে এধরনের কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বরং তাকে বুঝিয়ে নিবৃত করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর সেই যাত্রীকে সিভিল এভিয়েশনের সিকিউরিটির কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি তাকে থানায় হস্তান্তর করলে, থানা থেকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

সংস্থাটি বলছে, সেই যাত্রী কেবিন ক্রু ও অন্যান্য যাত্রীদের সাথে যে আচরণ করেছেন সে তুলনায় এভিয়েশন পলিসি (থ্রেট লেভেল) অনুযায়ী বিমানের পক্ষ থেকে যাত্রীর বিরুদ্ধে কোনো কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।