জুলাই ২৭, ২০২৪

শনিবার ২৭ জুলাই, ২০২৪

মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারে বেশি পিছিয়ে আছে দেশের নারীরা

Woman Using Phone
প্রতীকি ছবি/সংগৃহীত

মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারে বাংলাদেশে পুরুষের চেয়ে নারীরা অনেক পিছিয়ে আছে। সম্প্রতি মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈশ্বিক সংগঠন গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল কমিউনিকেশনস অ্যাসোসিয়েশনের (জিএসএমএ) ‘দ্য মোবাইল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট ২০২৪’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

এছাড়া, ৫৫ শতাংশ পুরুষ ও ৪৫ শতাংশ নারী অনলাইনে খবর পড়েন। পুরুষের ২৩ ও নারীর ১২ শতাংশ চাকরি ও ব্যবসা–সংক্রান্ত তথ্য অনলাইনে খুঁজে থাকেন।

শিক্ষা ও ডিজিটাল দক্ষতার অভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারে পুরুষের থেকে আগ্রহ বেশি থাকা সত্ত্বেও দেশের নারীরা এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ইন্টারনেট সেবা গ্রহণে বাংলাদেশের নারী–পুরুষের ব্যবধান সবচেয়ে বেশি (৪০ শতাংশ)। ভারতে এ ব্যবধান ৩০ শতাংশ, পাকিস্তানে ৩৮ শতাংশ ও ইন্দোনেশিয়ায় ৮ শতাংশ।

বাংলাদেশের নারীদের পিছিয়ে পড়ার কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্বচ্ছল, পড়াশোনা না জানা, গ্রামাঞ্চলে বসবাস বা বিশেষভাবে সক্ষম নারীরা এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে।

এছাড়া সাক্ষরতা ও ডিজিটাল দক্ষতার অভাবের কথা উঠে এসেছে, যা পুরুষের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

ইন্টারনেট ব্যবহারে বড় বাধা হিসেবে সামর্থ্যের বিষয়টিও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, মোবাইল ও ইন্টারনেটের বাড়তি দামও বাধা হিসেবে ভূমিকা রাখছে। বিশেষত বাংলাদেশ, কেনিয়া, নাইজেরিয়া ও উগান্ডায় মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য ডেটা প্যাকেজের বাড়তি দাম বড় একটি সমস্যা। বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ২৪ শতাংশ নারী এবং ১৫ শতাংশ পুরুষ প্রতিবন্ধকতা হিসেবে ডাটা প্যাকেজের বাড়তি দামের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।

এছাড়া শুধু ইন্টারনেট সেবা গ্রহণে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের নারীদের অবস্থান সর্বশেষ।

যেসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নারী-পুরুষ ইন্টারনেট বেশি ব্যবহার করেন তার মধ্যে রয়েছে- অনলাইন কল, ভিডিও কল।