মালয়েশিয়া উৎপাদন, নির্মাণ, সেবা, আবাদ, কৃষি ও খনন খাতে নতুন করে ১১ লাখ ৩৬ হাজার ২২টি কর্মসংস্থান কোটা অনুমোদন দিয়েছে।
মালয়েশিয়ার স্থানীয় পত্রিকা সিনার হারিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানায়, গত শুক্রবার মালয়েশিয়ার জাতীয় সংসদ দেওয়ান রাকায়াতে প্রশ্নোত্তর পর্বে ১১ লাখ বিদেশি কর্মী নেয়ার তথ্য জানান মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী ভি শিবকুমার।
তিনি বলেন, কর্মসংস্থান কোটা অনুমোদনের মধ্যে উৎপাদন খাতে ৪ লাখ ৬৯ হাজার ১০৬টি, নির্মাণ খাতে ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৮৯৯টি, সেবা খাতে ১ লাখ ৭১ হাজার ৪৯০টি, চাষাবাদে ৮৫ হাজার ৬৭৮টি, কৃষিতে ৪৯ হাজার ৪৭৩টি এবং খনি ও খনন খাতে ৩৭৬টি কোটা অনুমোদন করা হয়েছে। মোট কোটার মধ্যে ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৫৯০টি বা ৪১ শতাংশ চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে ১৮ মার্চের মধ্যে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
ভি শিবকুমার বলেন, কোম্পানি মালিকদের মাধ্যমে বিদেশি কর্মীদের প্রবেশ প্রক্রিয়ার দিকে নজর দেয়া হচ্ছে। দেশের স্বার্থ ও খ্যাতি যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তাই নিয়োগকর্তাদের মাধ্যমে শ্রমের মানদণ্ড মেনে চলার দিকেও নজর রাখছে মালয়েশিয়া সরকার।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে তারা কর্মী নেবে। এখন পর্যন্ত চার লাখ ২৭ হাজার ৭৫৯ জন নতুন কর্মী নিয়োগের অনুমোদন পেয়েছে বাংলাদেশ। মালয়েশিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
২০২২ সালের ৮ আগস্ট বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হওয়ার পর শুরুতে বাংলাদেশি কর্মী যাওয়ার গতি কিছুটা কম থাকলেও চলতি বছরের প্রথম থেকেই পুরোদমে কর্মী যাচ্ছে দেশটিতে। এর মধ্যে, জানুয়ারিতে গেছেন ২৪ হাজার ৯৯৪ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২৯ হাজার ৩২০ জন, মার্চে ২৮ হাজার ৫৮৯ জন এবং এপ্রিলে গেছেন ১৮ হাজার ৫৬৫ জন কর্মী।