
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র সেনার ঢাকা মহানগরের সাবেক সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ রইস উদ্দিনের হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে কুমিল্লায় ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছে আহলে সুন্নতওয়াল জামায়াতের নেতারা।
আজ সোমবার (৫ মে) সকাল ১০টার দিকে কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের ব্যানারে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভকারীরা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়, এতে ভোগান্তিতে পড়েন চালক ও যাত্রীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই পদুয়ার বাজার এলাকার নুরজাহান হোটেলের সামনে জড়ো হন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী। এরপর একটি বিশাল মিছিল বের হয় এবং বিক্ষোভকারীরা মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ অংশ অবরোধ করে স্লোগান দিতে থাকেন। অবরোধের ফলে ঢাকা-চট্টগ্রামের মতো ব্যস্ততম মহাসড়কের উভয় দিকে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। তীব্র গরমে বিশেষ করে নারী ও শিশুরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নিলে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
বিক্ষোভ সমাবেশে যুব সেনার কেন্দ্রীয় সমাজ কল্যাণ সম্পাদক জাবের হোসাইন হুঙ্কার ছাড়েন, “যতক্ষণ পর্যন্ত রইস উদ্দিনের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হবে, ততক্ষণ আমাদের আন্দোলন থামবে না।” তিনি অবিলম্বে দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আহলে সুন্নতওয়াল মহাসচিব মাওলানা মাসুদ হোসেন আর কাদরী, রেজভিয়া দরবারের খলিফা মুফতি নজরুল ইসলাম রেজভী, কুমিল্লা ছাত্র সেনার সভাপতি মোহাম্মদ জাবের হোসেন, মাওলানা আমিরুল ইসলাম আকবরী, মাওলানা শাহ আলম আল কাদরী সাহাপুরী, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন আল কাদরী, মাওলানা আবু নোমান ইকরামুল হক আনোয়ারী ও মো. মাসুম বিল্লাহ। বক্তারা প্রত্যেকেই রইস উদ্দিনের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানান এবং প্রশাসনকে এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, “আমরা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছি। তারা আমাদের অনুরোধে মহাসড়ক অবরোধ তুলে নিয়েছেন। আমরা তাদের দাবি সম্পর্কে অবগত এবং বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।”
তবে, আন্দোলনকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিত না হলে দেশব্যাপী গণআন্দোলন গড়ে উঠবে, যার দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে। আমরা সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, অতীতে স্বৈরাচারীরাও গণআন্দোলনের মুখে টিকতে পারেনি।