গত কয়েক বছর করোনা মহামারির প্রকোপে রমজান মাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সীমিত রেখেছে আওয়ামী লীগ। অনলাইনে ও গণমাধ্যমে ভার্চুয়াল কার্যক্রম চালিয়ে গেছে উপমহাদেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক এই দল।
গতো বছর করোনার প্রকোপ কমতে শুরু করলে আয়োজন করা হয়েছে আওয়ামী লীগের সীমিত কিছু ইফতার পার্টি।
রোজায় ইফতার ‘রাজনীতি’ জমে উঠে বেশ। ইফতার টেবিলে আলাপ-আলোচনা মধ্যে দিয়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরাল, সাংগঠনিক শক্তি বাড়ান এবং জোটে মিত্র বাড়ানোর চেষ্টা করে রাজনৈতিক সব দল। মাস জুড়ে আয়োজন করা হয় ইফতার। দল ও অঙ্গসংগঠনের ব্যানারে মাসজুড়ে এসব আয়োজনে উপস্থিত থাকে শীর্ষ নেতারা।
এ বছর বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় কৃচ্ছ্বতা সাধনের লক্ষ্যে আসন্ন রমজানে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে কোনো ইফতার আয়োজন রাখছেন না। ক্ষমতাসীন এই দলের আয়োজনেও আনুষ্ঠানিক কোনো ইফতার অনুষ্ঠান হবে না।
রমজানে মাঠের রাজনীতি সীমিত হয়ে ঘরোয়া ইফতার রাজনীতিতে সক্রিয় থাকবে আওয়ামী লীগ। তবে মাঠে সক্রিয় থাকবে আওয়ামী লীগ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের খুব বেশি সময় নেই, তাই এই মাসে বিভিন্ন সাংগঠনিক ও ধর্মীয় কর্মসূচির মাধ্যমে গণসংযোগ করবে ক্ষমতাসীন এই দলটি।
প্রধানমন্ত্রী উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার জানান, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ইফতার হবেও একদমই সাদামাটা। ব্যক্তিগত ইফতারে তিনি কৃচ্ছতা সাধন করবেন।’ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ইতোমধ্যে প্রায় ২৫ কোটি টাকার মতো সাশ্রয় করেছে। এই সাশ্রয়ী নীতি তিনি পালন করছেন।
প্রতি বছরই আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা রোজায় মুক্তিযোদ্ধা, পেশাজীবী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, কূটনৈতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে কয়েক দফায় ইফতার করেন। করোনার প্রভাব না থাকলেওবৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ইফতারে সংযম এবং ব্যয় সংকোচন করবেন।
অপরদিকে বিএনপি, জাতীয় পার্টি,সমমনা দল ও জোট এবং জাটের বাইরের থাকা ছোট ছোট দলগুলোও ইফতার পার্টি আয়োজনের মধ্য দিয়ে সক্রিয় থাকতে চায় রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন >> ইফতার ‘রাজনীতিতেই’ থাকছে বিএনপি।