বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর মিছিল আরো দীর্ঘ হচ্ছে। মাঝে কয়েকটা দিন মৃত্যু কমে এলেও বিশ্বজুড়ে ফের বাড়তে শুরু করেছে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা। এরই ধারাবাহিকতায় গত একদিনে নতুন করে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৫৮ হাজার ১৭৮ জন, মৃত্যু হয়েছে ৪৪৬ জনের। একই সময়ে ভাইরাসটি থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬৩ হাজার ৪৬০ জন।
গত একদিনে বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সে। দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ১৪৪ জন এবং মারা গেছেন ১৩১ জনের। করোনা ভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার ৫৭০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬৬ হাজার ৫৫৬ জন মারা গেছেন।
দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ২৫১ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১৩ হাজার ৭৯১ জন, মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ১১ লাখ ৪২ হাজার ৮৬১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৩৪ হাজার ৪৭১ জন মারা গেছেন।
জার্মানি এবং ভারত ব্যতীত বিশ্বের আরও যেসব দেশে শুক্রবার মৃত্যু ও সংক্রমণের উচ্চহার দেখা গেছে, সেসব হলো— জার্মানি (মৃত ৯৫, নতুন আক্রান্ত ১ হাজার ২৩৩ জন), ইন্দোনেশিয়া (মৃত ৩৭, নতুন আক্রান্ত ২ হাজার ২৭৬ জন), মেক্সিকো (মৃত ৩৬ জন, নতুন আক্রান্ত ২ হাজার ৩৪ জন), জাপান (মৃত ৩৪ জন, নতুন আক্রান্ত ১১ হাজার ৪২৮ জন) এবং রাশিয়া (মৃত ৩১ জন, নতুন আক্রান্ত ৬ হাজার ৫৪৮ জন)।
বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৬ লাখ ১৪ হাজার ৮২৪ জন। এদের মধ্যে করোনার মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ২ কোটি ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৫২৭ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৩৯ হাজার ২৯৭ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ওই বছরের ১১ জানুয়ারি।
২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে। করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।