স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘পতিত স্বৈরাচারের সময় কুমিল্লাকে বিভিন্ন সময়ে বঞ্চিত করা হতো। এই অঞ্চলের দাবি, কুমিল্লাকে প্রশাসনিক বিভাগ করার। এ বিষয়ে আলোচনা করবো এবং দ্রুত তা বাস্তবায়নের জন্য উদ্যোগ নেবো। আমিও বলবো, যদি বিভাগ হয় তাহলে কুমিল্লা নামেই হবে।’
শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দুর্গারাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা গণআন্দোলনের কথা উল্লেখ করে বলেন. জুলাই বিপ্লবে নিহত শহিদের রক্তের ঋণ শোধ করতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এ দেশে আর কোনো স্বৈরাচারের স্থান হবে না। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণদের বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে। মুরাদনগর বিগত দিনে উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে ছিলো। আগামীতে পরিকল্পিত উপায়ে এ উপজেলার শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সড়ক উন্নয়নে কাজ করা হবে।
এর আগে সকালে মুরাদনগর উপজেলার কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন তিনি। দুপুর আড়াইটায় অনুষ্ঠান শুরুর কথা থাকলেও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এই মহানায়ককে অভিবাদন জানাতে সকাল থেকেই মুরাদনগর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে মিছিল সহকারে অংশগ্রহণ করেন সর্বস্তরের মানুষ।
অনুষ্ঠানে উপজেলা বিএনপি, জামায়াত, হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন ও শিক্ষক প্রতিনিধি, ছাত্র সমন্বয়কসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের পক্ষ থেকে তাকে গণসংবর্ধনা দেয়া হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তরিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. নাসের, উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আ.ন.ম ইলিয়াস, সাবেক আমির মনসুর মিয়া, মুরাদনগরের সাবেক এমপি কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের ছোট ভাই কাজী জুন্নুন বশির প্রমুখ।
উপদেষ্টা আসিফ আরও বলেন, এখন যে সুযোগটুকু পেয়েছি, এর সবটুকু দিয়ে এদেশের মানুষের সেবা করে যাবো। আগামী দিনে যেকোনো ক্রান্তিকালে আপনাদের পাশে থাকবো। মুরাদনগরের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্রীড়া সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হবে। এতে শিক্ষার্থীরা শরীর চর্চা করে মননশীল মেধা অর্জন করবে।
তিনি জানান, মুরাদনগরে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে ২০টি প্রকল্পের অনুমোদন হয়েছে। অতি দ্রুত কার্যক্রম শুরু হবে।