জুলাই ২৭, ২০২৪

শনিবার ২৭ জুলাই, ২০২৪

বিদেশি শিক্ষার্থীদের পরিবার নেয়ার পথ বন্ধ হচ্ছে যুক্তরাজ্যে

বিদেশি শিক্ষার্থীদের পরিবার নেয়ার পথ বন্ধ হচ্ছে যুক্তরাজ্যে
বিদেশি শিক্ষার্থীদের পরিবার নেয়ার পথ বন্ধ হচ্ছে যুক্তরাজ্যে। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যে অধ্যয়নরত বাংলাদেশিসহ বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্যে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। ডক্টর অব ফিলোসফি (পিএইচডি) শিক্ষার্থীরা বাদে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের অন্য শিক্ষার্থীরা তাদের পরিবারের সদস্যদের আর যুক্তরাজ্যে নিতে পারবে না।

যুক্তরজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে মঙ্গলবার (২৩ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সব ঠিক থাকলে আগামী ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিভিন্ন দেশ থেকে শিক্ষার্থী ভিসায় যুক্তরাজ্যে এসে পড়াশোনা বাদ দিয়ে কাজকর্মে প্রবণতা ঠেকাতেও প্রয়োজনী পদক্ষেপ নেওয়ার চিন্তাভাবনা সরকার করছে বলে জানিয়েছে সূত্র। মূলত ভিসা ব্যবস্থার অপব্যাবহার ঠেকাতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

চলতি বছর দেশটিতে বৈধ অভিবাসীর সংখ্যা রেকর্ড সাত লাখে পৌঁছেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দুদিন পরেই আনুষ্ঠানিক সংখ্যা ঘোষণা করা হবে। এর আগেই অভিবাসী-সংক্রান্ত নতুন আইন জারি করল ঋষি সুনাক প্রশাসন।

নতুন নিয়মে গবেষণা কোর্স নেই এমন স্নাতকোত্তর পর্যায়ের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা পরিবারের সদস্যদের দেশটিতে নিতে পারবে না। নতুন এ ঘোষণার কারণে যুক্তরাজ্যে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী কিংবা সঙ্গী ও সন্তানরা দেশটিতে বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। তবে যারা গবেষণা করছেন, তাদের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য নয়।

যুক্তরাজ্যে বর্তমানে অন্যতম বড় সমস্যা অভিবাসী সংকট। গত বছর অক্টোবরে ক্ষমতায় এসেই এই সংকট সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত বছর বিদেশি শিক্ষার্থীদের আত্মীয়-পরিবারের সদস্য পরিচয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করেছেন ১ লাখ ৩৬ হাজারেরও বেশি মানুষ। ২০১৯ সালে, যখন কনজারভেটিভ পার্টি দেশটিতে ক্ষমতায় আসে, সেই সময়ের তুলনায় এই সংখ্যা আটগুণ। ওই বছর মাত্র ১৬ হাজার মানুষ শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্য হিসেবে যুক্তরাজ্যে এসেছিলেন।

মঙ্গলবারের বিবৃতিতে এ বৃদ্ধিকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত উল্লম্ফন’ বলে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েল্লা ব্রাভারম্যান আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর নির্ভরশীল লোকজনের ভিসা নিয়ে যুক্তরাজ্যে আসার প্রবণতায় অনাকাঙিক্ষত উল্লম্ফন আমরা লক্ষ্য করছি। এই পরিস্থিতিতে আমাদের অর্থনীতি গতিশীলতা ও বিভিন্ন সরকারি পরিষেবার মান অক্ষুণ্ণ রাখতে বাধ্য হয়েই এ পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে।’

এদিকে গবেষণা কোর্স রয়েছে এমন শিক্ষার্থীদেরও পরিবার নেওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আলোচনা চলছে। তবে বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রীসভার সদস্যদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে।