দেশে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার এক দফা দাবিতে বিভাগীয় শহর রংপুর থেকে দিনাজপুর পর্যন্ত তারুণ্যের রোডমার্চ করছে জাতীয়তাবাদী যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। এ কর্মসূচিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘তরুণরা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় একটি অংশ। অথচ তারাই আজকে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী। চাকরি নাই, কর্ম নাই, ব্যবসা নাই। বিএনপির নাম গন্ধ থাকলে ব্যবসা করা যাবে না।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রংপুরের গ্রান্ড হোটেল মোড়ে বিএনপি কার্যালয়ে সামনে থেকে শুরু হওয়া ‘তারুণ্যের রোডমার্চ’ কর্মসূচির উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ী পরিবেশ পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগের লোক ধ্বংস করছে। মহীয়সী নারী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারান্তরীণ করে রেখেছে। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। চিকিৎসকরা অত্যন্ত চিন্তিত। চিকিৎসকরা বলছেন তার চিকিৎসা এদেশে আর নাই। দেশনেত্রীর চিকিৎসা দেশের বাইরে করা দরকার। কিন্তু এই স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রী আমাদের দেশনেত্রীকে বাইরে চিকিৎসা নিতে দিচ্ছেন না। অথচ ১/১১ এর সময় কানের চিকিৎসার জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে গিয়েছিলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আজকে অসহায় হয়ে গেছে দ্রব্যমূল্য নিয়ে। চালের দাম, তেলের দাম, আলুর দাম, বিদ্যুতের দাম হু হু করে বেড়েছে। কিন্তু মানুষ বিদ্যুৎ পায় না, শুধু লোডশেডিং আর লোডশেডিং। কৃষি সেচ দিতে পারে না কৃষক। আজকে ব্যাংকগুলোতে টাকা চুরি করে আওয়ামী লীগের লোকেরা পাচার করছে বিদেশে। রিজার্ভ কমে গেছে। সরকার দলীয় লোকদের দুর্নীতির কারণে আজ রিজার্ভ কমছে, দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো না।
মির্জা ফখরুল বলেন, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে পরপর ২টি নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। তাই বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না জনগণ। বর্তমান সরকার বারবার জনগণের সাথে প্রতারণা করেছে।