
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন দ্বিতীয় সমাবর্তন ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বিকেল পাঁচটার পর থেকে বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম, ছয়জন সহকারী প্রক্টর সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। বিজ্ঞপ্তিতে মোট পাঁচটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুসারে, কনভোকেশন উপলক্ষ্যে ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা রক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বিকেল পাঁচটার পরে বহিরাগত লোকজনের প্রবেশাধিকার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এই নিষেধাজ্ঞার কোনো ব্যত্যয় ঘটলে, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে, তাকেসহ সংশ্লিষ্টকে শোকজ প্রদান ও তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের কোনো ব্যক্তিগত বা পারিবারিক ঘটনা বা দুর্ঘটনার দায় অযৌক্তিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপর চাপানোর প্রয়াসকে ষড়যন্ত্র বিবেচনা করা হবে এবং তা খতিয়ে দেখে উপযুক্ত প্রমাণ মিললে প্রয়োজনীয় শান্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রভোস্ট কমিটি কর্তৃক প্রণীত নীতিমালা অনুযায়ী স্নাতকোত্তর পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পনের দিন অতিবাহিত হওয়ার পর কোনো শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত যেকোনো শিক্ষার্থী আবাসিক হলে অবস্থান না করার বিষয়ে হল-প্রশাসনের আশু দৃষ্টি আকর্ষণ করছে প্রক্টরিয়াল বডি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ, সেহেতু যে কোনো প্রকার রাজনৈতিক কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে পরিচালনা করলে বিধি অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম বলেন, “সম্প্রতি গভীর রাতে এবং দাপ্তরিক সময়ের বাইরে কিছু অঘটনের পেছনে তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে প্রশাসন। শিক্ষার পরিবেশ রক্ষায় শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে যেন তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলে এবং প্রশাসনকে সহায়তা করে। একই সঙ্গে মব সংস্কৃতির বিলোপে সচেতন থাকারও আহ্বান জানানো হয়েছে।”