বুধবার ১৬ জুলাই, ২০২৫

বর্ষাকালে কন্টাক্ট লেন্স পরছেন? ঝুঁকি এড়াতে যা জানা জরুরি!

Rising Cumilla - contact lens
প্রতীকী ছবি/সংগৃহীত

চশমার তুলনায় কন্টাক্ট লেন্সের ব্যবহার নিঃসন্দেহে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যময়। তবে বর্ষাকালে এর ব্যবহারে প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতা। এই সময়ে বাতাসে ধূলিকণা, জীবাণু এবং আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় চোখে সংক্রমণের ঝুঁকি বহুগুণ বৃদ্ধি পায়।

আপনার চোখকে সুস্থ ও নিরাপদ রাখতে বর্ষায় কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহারের সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মেনে চলা অত্যাবশ্যক। আনন্দবাজার পত্রিকার সূত্র অনুযায়ী, নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

বৃষ্টির পানি থেকে বাঁচুন

বর্ষার দিনে কন্টাক্ট লেন্স পরে বাইরে বেরোনো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। বৃষ্টির পানিতে থাকা ক্ষুদ্র ধূলিকণা বা ক্ষতিকারক জীবাণু লেন্সের মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার চোখে সংক্রমণ ঘটাতে পারে। যদি কোনো কারণে আপনার লেন্স ভিজে যায়, তাহলে দ্রুত তা চোখ থেকে খুলে ফেলুন, চোখ ভালোভাবে পরিষ্কার করুন এবং প্রয়োজনে একটি নতুন লেন্স ব্যবহার করুন। চোখের সুরক্ষার জন্য এই ছোট পদক্ষেপটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

লেন্স স্পর্শ করার আগে হাত পরিষ্কার করুন

কন্টাক্ট লেন্স পরা বা খোলার আগে আপনার হাত সাবান দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে মুছে নেওয়া আবশ্যক। ভেজা বা অপরিষ্কার হাতে লেন্স ধরলে হাতের জীবাণু সহজেই চোখে স্থানান্তরিত হতে পারে, যা মারাত্মক সংক্রমণের কারণ হতে পারে। হাতের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা চোখের সুরক্ষার প্রথম ধাপ।

একই লেন্স সলিউশন বারবার নয়

কন্টাক্ট লেন্স সংরক্ষণের জন্য যে বিশেষ তরল বা সলিউশন ব্যবহার করা হয়, সেটি প্রতিবার নতুন ও পরিষ্কার হওয়া নিশ্চিত করা জরুরি। পুরনো বা একই তরল বারবার ব্যবহার করলে তাতে জীবাণু জন্মানোর আশঙ্কা বেড়ে যায়, যা সরাসরি চোখে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। লেন্সের সলিউশনের ব্যবহারবিধি মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।

লেন্স কেস রাখুন ঝকঝকে পরিষ্কার

লেন্স রাখার কেসটি প্রতিদিন পরিষ্কার করুন এবং প্রতি তিন মাস অন্তর এটি পরিবর্তন করুন। অপরিষ্কার লেন্স কেস থেকেও চোখে জীবাণু সংক্রমণ ছড়াতে পারে। লেন্সের যত্নের পাশাপাশি এর কেসের পরিচ্ছন্নতাও চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় সমান গুরুত্বপূর্ণ।

অস্বস্তি হলে লেন্স ব্যবহার বন্ধ করুন

যদি লেন্স পরার পর চোখে লালচে ভাব, চুলকানি অথবা জ্বালাপোড়ার মতো কোনো অস্বস্তি অনুভব করেন, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে লেন্স খুলে ফেলুন। এগুলো চোখে সংক্রমণের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে দেরি না করে দ্রুত একজন চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চোখের সামান্যতম অস্বস্তিও অবহেলা করা উচিত নয়।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

আরও পড়ুন