ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪

শুক্রবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নওরীনের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নওরীনের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নওরীনের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ। ছবি: প্রতিনিধি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ সেশনের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল নওরীন উর্মির উপর হামলার প্রতিবাদে ববি ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে শুরু করে সুফিয়া কামাল চত্বর, ভিসি ভবন ও বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক ঘুরে এসে প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় (গ্রাউন্ডফ্লোর) এসে মিছিলটি শেষ হয়।

প্রতিবাদ সমাবেশে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃইমরান বলেন, ছাত্রলীগ নামধারী কিছু সন্ত্রাসী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নারী শিক্ষার্থীকে হত্যার উদ্দেশ্য যে বর্বরোচিত হামলা ও নির্যাতন চালায় আমরা তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে সুষ্ঠু বিচার চাই। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে বিচার চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিচার কিংবা তদন্ত করেনি।কিন্তু এখন দেশের ছাত্রজনতা সোচ্চার হয়েছে এবং তাদের অধিকার আদায় করতে সক্ষম হয়েছে। এখন প্রশাসন কারো পক্ষপাতী হয়ে সত্য ঘটনা ধামাচাপা দিতে পারবে না।সুতরাং অবিলম্বে এই নৃশংস হামলার বিচার হবে বলে আশাকরি

বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃসাজ্জাদুর রহমান বলেন,আমরা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানাচ্ছি যে, যেকোনো অন্যায়, অবিচার, নিপীড়নের বিরুদ্ধে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা সদা সোচ্চার। স্বৈরাচার, দেশদ্রোহী, খুনি হাসিনার সময়ে সংঘটিত সকল অন্যায়, অবিচারের ন্যায়বিচারের জন্য সকল দল মতের ঊর্ধ্বে উঠে বিচার প্রার্থীর কণ্ঠস্বর হওয়াই “জুলাই বিপ্লব-২০২৪” এর একটি অন্যতম লক্ষ্য।

২০২০ সালের ১লা মার্চ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী “জান্নাতুল নওরীন উর্মি” উপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার ঘটনা ঘটে যা জাতীয় দৈনিক পত্রিকা ও সকল টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে হামলার শিকার জান্নাতুল নওরীন উর্মি” আপু এর বিচার দাবি করেও কোন উত্তর পাননি। কারণ হামলাকারীরা ছিলেন গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের শিক্ষক ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী।

এই ন্যাক্কারজনক হামলার সাথে জড়িত ছিলেন,

১) গণিত বিভাগের শিক্ষক সুজিত বালা

২) ছাত্রলীগ আলিম সালেহীন ( সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ, ১ম ব্যাচ)

৩) ছাত্রলীগ আরিফুল ইসলাম (একাউন্টিং বিভাগ, ৭ম ব্যাচ)

৪) ছাত্রলীগ আবদুল্লাহ ফিরোজ (একাউন্টিং বিভাগ, ৬ষ্ঠ ব্যাচ)

৫) ছাত্রলীগ হাফিজ ( একাউন্টিং বিভাগ, ৫ম ব্যাচ)

৬) ছাত্রলীগ আসাদুজ্জামান আসাদ ( একাউন্টিং বিভাগ)

এখন সময় এসেছে সকল অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজের আওয়াজ তোলার। তাই একজন নারী শিক্ষার্থীকে হত্যার উদ্দেশ্যে ন্যক্কারজনক ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে আমাদের দাবি সমূহ.

১. অবিলম্বে এই ন্যাক্কারজনক হামলার তদন্ত পুনরায় শুরু।

২. মূল হোতা সুজিত বালার চাকরিচ্যুতি ও গ্রেফতার।

৩. ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সার্টিফিকেট বাতিল ও গ্রেফতার।

৪. এই ঘটনার সামনে পিছনের ক্রীড়ানকদের খুঁজে বের করে গ্রেফতার করতে হবে।

৫. আগামী ০৭ দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সমূহকে এই ঘটনায় দৃশ্যমান কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের ভূমিকায় দেখতে চাই।

অন্যথায় আগামী ০৭ দিন পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পদত্যাগ, রাস্তা অবরোধ সহ নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।