বঙ্গবাজার মার্কেটের মঙ্গলবার সকালে ভয়াবহ যে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে, তাতে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। পুড়ে ছাই হয়ে গেছে দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারি কাপড়ের মার্কেট। মার্কেটের প্রায় ৫ হাজার দোকান আগুনে পুড়ে গেছে। মর্মান্তিক এই অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে আসছেন দেশের সাধারন নাগরিক থেকে শুরু করে স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, রাজনৈতিক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সেলেব্রিটিরা।
এ অনুদানের সঙ্গী হতে পিছিয়ে নেই জনপ্রিয় শিল্পী তাহসান, চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা সাহা মীম। তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবাজারে পুড়ে যাওয়া একটি লুঙ্গি লাখ টাকায় কিনে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন দেশের সংগীত তারকা ও অভিনেতা তাহসান খান। অপরদিকে মিম আগুনে ঝলসে যাওয়া জামা কিনে নিয়েছে ১০০ কাপড়ের দামে।
স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান বিদ্যানন্দ ক্ষতিগ্রস্ত বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের জন্য ফান্ড সংগ্রহ করছে। এই ফান্ডে অংশীদার হলেন তাহসান রহমান খান, চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা সাহা মীম।
তাহসানকে ও মীম নিয়ে বিদ্যানন্দের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের পোস্টটি ‘রাইজিং কুমিল্লা’ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল-
তাহসানকে নিয়ে লিখেন,
“লুঙ্গির দাম এক লাখ টাকা!
জনপ্রিয় শিল্পী তাহসান বঙ্গবাজারের পোড়া লুঙ্গির একটা কিনে নিয়েছেন এক লাখ টাকায় ! যে টাকা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত বিক্রেতাদের কাছে।
অনেকে তারকা ব্যক্তিত্বের অনুরোধ আসছে বিদ্যানন্দে, সবাই সংগ্রহে রাখতে চান কিছু কাপড়
“বঙ্গবাজারের কাপড়ে বড় হইছি। আর তাঁদের বিপদে একটা কাপড় কিনতে পারবো না?।”
বিদ্যা সিনহা সাহা মীমকে নিয়ে লিখেন,
“চিত্রনায়িকা মিম আগুনে ঝলসে যাওয়া জামা কিনে নিয়েছে ১০০ কাপড়ের দামে !
জামাটি স্পর্শ করলেন যত্ন নিয়ে, অনুভব করতে চেয়েছেন আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বঙ্গবাজারের সাথে সংশ্লিষ্ট মানুষদের। এরপর চেক লিখে হস্তান্তর করেন বিদ্যানন্দের স্বেচ্ছাসেবীদের কাছে।
ক্ষতির তুলনায় আমাদের উদ্যোগটা খুবই ছোট, তবুও সকলকে ভুক্তভোগীদের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দিতে চেয়েছি এই উদ্যোগের মাধ্যমে।
কাপড় সংগ্রহ উৎসাহী শুভাকাঙ্ক্ষীদের পেজের ইনবক্সে যোগাযোগের অনুরোধ রইলো। উল্লেখ্য লোক সংকটে আমাদের রেস্পন্স করতে দেরী হচ্ছে।”
উল্লেখ্য, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ঘুরে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যাপ্ত অনুদান দেবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।