ডিসেম্বর ১৪, ২০২৪

শনিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীকে কোরবানির গরু উপহার দিলেন কৃষক

প্রধানমন্ত্রীকে কোরবানির গরু উপহার দিলেন কৃষক
প্রধানমন্ত্রীকে কোরবানির গরু উপহার দিলেন কৃষক। ছবি: সংগৃহীত

কোরবানির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার হিসেবে দিতে একটি গরু লালন-পালন করেছেন কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার চরকাওনা গ্রামের কৃষক বুলবুল আহমেদ ও তার স্ত্রী ইসরাত জাহান। তাদের ভালোবাসার প্রতি সম্মান জানিয়ে উপহারের গরুটি নিতে সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

গতকাল শুক্রবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন কিশোরগঞ্জের বুলবুল আহমেদের গরু লালন-পালনের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী উপহারের গরু নিতে সম্মতি দেন। প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

পরে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, এই বিরল ভালোবাসার কথা শুনে প্রধানমন্ত্রী খুশি হয়েছেন এবং বুলবুল আহমেদ ও তার স্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

হাসান জাহিদ তুষার জানান, প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা এই গরু বুলবুল আহমেদের নিজ বাড়িতেই থাকবে এবং সেখানেই কোরবানি হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোরবানির গরুর মাংস স্থানীয় দরিদ্র-অসহায় জনগণের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

বুলবুল আহমেদের গরুটি ক্রস ব্রাহমা প্রজাতির। আনুমানিক ৮০০ কেজি মাংস হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বুলবুল কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তার স্ত্রী ইসরাত জাহান পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে মাঠকর্মী হিসেবে কর্মরত। বুলবুল জানান, ২০২০ সালে নেত্রকোনা থেকে আড়াই লাখ টাকায় প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেয়ার উদ্দেশ্যে এই গরু কেনেন তিনি। আর এটি কেনা হয় আওয়ামী লীগ সরকারের একটি বাড়ি, একটি খামার প্রকল্প থেকে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে ও নিজেদের জমানো টাকা দিয়ে।

গরুটি যেন সুস্থ থাকে, সেজন্য কিশোরগঞ্জ জেলার বিখ্যাত পাগলা মসজিদে পাঁচ হাজার টাকা মানতও করছিলেন তিনি।

বুলবুল আহমেদ জানান, তিনি ও তার স্ত্রী ইশরাত জাহান আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্প থেকে ঋণ নিয়ে স্বল্প সঞ্চয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর জন্য এই গরুটি কিনেছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারই আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পটি চালু করে। গত তিন বছর ধরে তারা অতি উৎসাহী হয়ে গরুটির যত্ন নেন।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরাগ ও ভালোবাসা থেকেই আমরা এই গরুটি কিনে লালন-পালন করেছি।