জুলাই ২৭, ২০২৪

শনিবার ২৭ জুলাই, ২০২৪

পিএইচডি ডিগ্রির অনুমতি পেতে যাচ্ছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

Bangladeshi Private universities are going to get permission for PhD degrees
পিএইচডি ডিগ্রির অনুমতি পেতে যাচ্ছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এমফিল এবং পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়ার সুযোগ দিতে বিধিমালা তৈরির প্রস্তুতি নিয়েছে। বিধিমালা তৈরি সংক্রান্ত কমিটি গঠন করবে সংস্থাটি শিগগিরই। কমিটিকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে খসড়া বিধিমালা তৈরি করে কমিশনে জমা দিতে হবে।

এরআগে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় এমফিল এবং পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু করার সুযোগ দিতে ইউজিসিকে তাগাদা দিয়েছিলেন। শিক্ষামন্ত্রীর এই তাগাদা দেওয়ার পর ইউজিসি দ্রুত বিধিমালা করার উদ্যোগ নেয়।

গত ১২ জুলাই এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের এখানে এখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় পিএইচডি প্রোগ্রাম নেই। আমি ইতোমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) কথা বলেছি। আমি বিশ্বাস করি দেশের বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সক্ষমতা অর্জন করেছে। কাজেই তাদের যেন সুযোগ দেওয়া হয়।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এমফিল এবং পিএইচডি করানোর ক্ষেত্রে একটি নীতিমালা বা বিধিমালা করতে হবে। বিধিমালাটি দ্রুত শেষ করতে চায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বিধিমালার খসড়া তৈরি করতে একটি কমিটি গঠন করা হবে। কমিটিকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কমিশনে খসড়া জমা দেওয়ার কথা বলা হবে। খসড়া জমা দিলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, দেশের প্রায় ১৫টির বেশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমফিল এবং পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়ার মতো সক্ষমতা রয়েছে। গবেষণার পর্যাপ্ত সুযোগ, গবেষকদের ভাতা ও আবাসনসহ সব ধরনের সুবিধা দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে তাদের। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গবেষণা করার জন্য বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন।

ড. বিশ্বজিৎ চন্দ আরও বলেন, আইন অনুযায়ী যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ রয়েছে, তারা পিএইচডি করানোর সুযোগ পাবে। যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পিএইডি করা শিক্ষক রয়েছেন, সেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ বা বিষয়ে পিএইচডি করানোর সুযোগ থাকবে। বিধিমালায় সব উল্লেখ থাকবে। তবে যা কিছু হবে পূর্ণ কমিশনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর।

ইউজিসির সূত্রে জানা গেছে, পিএইচডি করার ক্ষেত্রে গবেষণার বিষয়ের প্রস্তাব অনুমোদন নিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকে। মান নিয়ন্ত্রণের জন্যই এ ব্যবস্থা রাখা হবে। পিএইচডি করার ক্ষেত্রে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ করে দেওয়ার বিষয়টি কমিশনের নীতিমালায় উল্লেখ থাকবে। পিএইচডি করানোর ক্ষেত্রে সুপারভাইজার হিসেবে ন্যূনতম সহযোগী অধ্যাপক হতে হবে। গাইড টিচার ছাড়াও দেশের অন্য একজন এবং বিদেশের একজন তত্ত্বাবধানকারী হিসেবে থাকবেন পিএইচডি করানোর ক্ষেত্রে।