জুলাই ২৭, ২০২৪

শনিবার ২৭ জুলাই, ২০২৪

পাকিস্তানে বেড়েছে গাধা উৎপাদন

পাকিস্তানে বেড়েছে গাধা উৎপাদন
পাকিস্তানে বেড়েছে গাধা উৎপাদন। ছবি: সংগৃহীত

আর্থিক সঙ্কটে রয়েছে পাকিস্তান। খাদ্যশস্যের উৎপাদন সেই দেশে একেবারেই তলানিতে‌। কিন্তু এদিকে তরতরিয়ে বাড়ছে গাধার সংখ্যা। দেশের ইকোনমিক সার্ভেতে ধরা পড়েছে সেই তথ্য।

দেখা গিয়েছে পাকিস্তানে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সারা দেশে গাধার‌ সংখ্যা‌ ছিল ৫.৮ মিলিয় অর্থাৎ ৫৮ লাখ। যা‌ তার আগের বছর ৫৭ লাখ ছিল। তারও আগের বছর অর্থাৎ ২০২০-২১ সালে এই সংখ্যা ছিল ৫৬ লাখ। তবে হঠাৎ গাধা নিয়ে এত সিরিয়াস কেন পাকিস্তান, সেটাই ভাবছেন তো? আসলে প্রতিবেশী চীনেরই দরকার গাধা‌। তাদের জোগান দিতেই পাকিস্তান গাধা ‘উৎপাদন’ ও প্রতিপালনে বিশেষ মন দিয়েছে।

সারা পৃথিবীতে যে পরিমাণ গাধা উৎপাদন হয়, তাতে তৃতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। এদিকে প্রথম স্থান দখল করে রয়েছে চীন‌। কিন্তু সম্প্রতি দেশের চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উঠতে পারছে না চীন। যে সংখ্যায় গাধা দরকার, সেই সংখ্যায় গাধা উৎপাদনই হচ্ছে না।‌ ফলে বাধ্য হয়ে পাকিস্তানের থেকে আমদানির কথা ভেবেছিল চীন। সেই সুযোগই লুফে নেয় পাকিস্তান।

মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, এত গাধা নিয়ে চীন কী করে? এর জন্য ফিরে দেখতে হবে ২০১৯ সালে সংবাদ মাধ্যম গার্ডিয়ানের একটি প্রতিবেদন‌। সেখান থেকেই জানা যায় গাধার ব্যবহার। একটি গাধার‌ ত্বকের মধ্যে জিলেটিন থাকে। ওই জিলেটিন ওষুধ তৈরির কাজে লাগে। চিনেও ঠিক সেই কাজ হয়। গাধাকে হত্যা করে তার ত্বক শরীর‌ থেকে আলাদা করা হয়। এরপর সেই ত্বক ভালো করে ফুটিয়ে বার করা হয় জিলেটিন‌।

অন্যদিকে সংবাদ মাধ্যম পিটিআইয়ের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে চীনের তরফে পাকিস্তান থেকে গাধা ও কুকুর আমদানির কথা বলা হয়। সংবাদ মাধ্যম জিও নিউজের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের বানিজ্য মন্ত্রণালয় ও সিনেট স্ট্যান্ডিং কমিটির মধ্যে কথা চলাকালীন প্রবীণ কর্মকর্তা দীনেশ কুমার এই কথা জানান। পাঞ্জাব রাজ্যের ওকারা জেলায় ৩০০০ একর জমি জুড়ে একটি ফার্ম গড়া হয়েছে। সেখানেই উৎপাদন করা হয় গাধা। মূলত দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাতেও এই গাধা উৎপাদনে জোর দিমেছে পাকিস্তান