
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক, চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন তোতা হত্যাকান্ড ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে চরএলাহী বাজারে গতকাল বুধবার বিকেলে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন, চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হোসেন মেম্বার, চরএলাহী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি আব্দুর রহীম, বিএনপি নেতা আব্দুর রহীম বিশ্বাস, নিহত বিএনপি নেতা আব্দুল মতিন তোতার মেয়ে বিবি সুমি আক্তার।
মানববন্ধনে বক্তাগণ অভিযোগ করে বলেন,আওয়ামী সরকারের পতনের পর গত বছরের ২৭ আগস্ট পরিকল্পিত ভাবে কিছু বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতার যোগসাজশে নির্মমভাবে চরএলাহী বাজারে চরএলাহী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন তোতা কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এরপর জামায়াত থেকে আসা বিএনপি নেতা ফখরুল ইসলামের যোগসাজশে আমাদের পরিবারের একাধিক সদস্যের ওপর হামলা চালানো হয়। মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় তার ছেলে ইব্রাহীম তোতাকে ফাঁসানো হয়।
এছাড়াও তার পরিবারের সদস্যদের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে হয়রানি করা হচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ফখরুল ইসলামের বলেন, ঘাট নিয়ে তোতা হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগে ঘাট রাজ্জাক চেয়ারম্যান খেত এখন তোতার ছেলেরা খাচ্ছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুর আবেদ ও নোয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুরুল আলম সিকদার বিএনপি নেতা তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছে।
এ বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুর আবেদের মুঠোফোনে কল করা হলেও সংযোগ পাওয়া যয়নি।
তবে নোয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নুরুল আলম সিকদার অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, আমরা কাউকে প্রশ্রয় দেওয়ার প্রশ্নই আসেনা।