জুলাই ৮, ২০২৫

মঙ্গলবার ৮ জুলাই, ২০২৫

নিজে থেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বানরটিকে বাঁচানো গেল না

The monkey who came to the hospital for treatment on its own could not be saved
নিজে থেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বানরটিকে বাঁচানো গেল না। ছবি: সংগৃহীত

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত হয়ে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় শরীরে ক্ষত নিয়ে পরপর তিনদিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিল বানরটি। বানরটিকে ঘিরে মানুষের মধ্যে শুধু আগ্রহ ও কৌতুহলই তৈরি হয়নি, তৈরি হয়েছিল অন্যরকম এক মমতাবোধ। কিন্তু বেদনাদায়ক খবর হচ্ছে, চিকিৎসা নিতে গিয়ে মানুষের মনকাড়া বানরটিকে শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেলো না।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কার্যালয়ে বানরটি মারা যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা দীপান্বিতা ভট্টাচার্য বলেন, ‘বানরটির অবস্থা ভালো ছিল না। তারপরও এটি যাতে সুস্থ হয়ে ওঠে, সেজন্য চোখে চোখে রাখা হয়েছিল। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী বানরটিকে তরল খাবার খাওয়ানো হচ্ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে এটি এক প্রকার খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়, বমি করতে থাকে। তাতে বানরটি আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। আমরা বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে তৃতীয়বারের মতো চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি হাসপাতালে নিয়ে যাই। চিকিৎসকরা ক্ষতস্থানে ড্রেসিং করে দেন। ইনজেকশন পুশ করেন। তারাও সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এত চেষ্টার পরও বানরটিকে বাঁচানো যায়নি।’

জানা গেছে, গত ২ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো অসুস্থ বানরটি সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে। ওই সময় বানরের শরীরের পেছনের অংশে একটি গভীর ক্ষত দেখা যায়। পরে হাসপাতালের চিকিৎসকরা বানরটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। চিকিৎসা শেষে বানরটি হাসপাতাল থেকে চলে যায়। পরদিন বিকেলে বানরটি পুনরায় হাসপাতাল এলাকায় আসে। ওই দিন বানরটিকে ড্রেসিং করে ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হয়। এরপর বানরটি আবার হাসপাতাল থেকে চলে যায়।

তারপর তৃতীয় দিনের মতো ৪ সেপ্টেম্বর সকালে পুনরায় বানরটি হাসপাতালে আসে। সেদিনও বানরটিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে বানরটির শরীরের ক্ষত গুরুতর হওয়ায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের খবর দেওয়া হয়। তারা বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সহায়তায় বানরটি ধরে নিয়ে যান। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে নিয়ে ব্যান্ডেজ খুলে বানরের শরীরে গুরুতর ক্ষত দেখতে পান কর্মকর্তারা।

গত ৪ সেপ্টেম্বর বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বানরটিকে সিভাসুতে নিয়ে যান। সিভাসু’র একটি চিকিৎসক টিম বানরটিকে চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন।

 

আরও পড়ুন