
সম্প্রতি দেশে ঘটে যাওয়া নারী ও শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশাল মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৮ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ডফ্লোরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
গত কয়েকমাস ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে খুন, হত্যা ও চুরি, ডাকাতির পাশাপাশি নারী ও শিশু ধর্ষণের মত অপরাধ বেড়েই চলেছে। এতে ফুঁসে উঠেছেন দেশের সচেতন নাগরিকরা। প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে বিভিন্ন প্রাঙ্গণ থেকে।
এরই প্রেক্ষিতে এমন জঘন্য অপরাধের প্রতিবাদে ও দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে আজ বিবিতে মশাল মিছিল এবং বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রদক্ষিণ করে আবার গ্রাউন্ড ফ্লোরে ফিরে আসে।
এইসময় মিছিলে ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন স্লোগান দেয়,জ্বালো জ্বালো আগুন জ্বালো,ধর্ষকের বিরুদ্ধে আগুন জ্বালো,
ধর্ষকের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না,ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যু মৃত্যু।
এসময় মশাল মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী উপমা দত্ত বলেন, ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড আইনগতভাবে থাকলেও, বাস্তবে এর কার্যকর প্রয়োগ খুবই কম। নারীদের জন্য অতিরিক্ত আইন থাকার ধারণাটি মিথ্যা, কারণ নারীরা এখনও ব্যাপকভাবে নির্যাতিত হচ্ছেন এবং ধর্ষকদের যথাযথ শাস্তি হচ্ছে না।
২০২০ সালের আলোচিত ধর্ষণ মামলায় পাঁচ বছরের শিশুকে যৌন নির্যাতন ও যৌনাঙ্গ কেটে ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের আসামি জামিন পেয়ে বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাংলাদেশে ধর্ষণের শাস্তি শুধু কাগজে-কলমে নয়, বাস্তবেও কার্যকর করতে হবে এবং প্রতিটি ধর্ষণের ঘটনায় উপযুক্ত বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
মশাল মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিন শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে মশাল মিছিলে যোগদান কর তিনি তার বক্তব্যে বলেন, এখানে নারী ও পুরুষ উভয় শিক্ষার্থীরাই উপস্থিত হয়েছে।
ধর্ষণ একটি অপরাধ যা পুরুষদের দ্বারা সংঘটিত হয়, তাই পুরুষদের একটি বিশাল দায়িত্ব রয়েছে। আমরা এমন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চাই যেখানে নারীরা যৌন হয়রানি বা ধর্ষণের শিকার হবে না।
২০০৯ সালের হাইকোর্ট নির্দেশনা এবং ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড আইন মেনে চলতে হবে। আমি মনে করি ২০০৯ সালের হাইকোর্ট নির্দেশনা পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
বিক্ষোভ সমাবেশের পরপরই শিক্ষার্থীরা মশাল মিছিলে অংশ নেন এবং শ্লোগানে শ্লোগানে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর করার দাবি জানান।