অক্টোবর ৪, ২০২৪

শুক্রবার ৪ অক্টোবর, ২০২৪

নাম পরিবর্তন হচ্ছে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের, প্রস্তাবিত নাম আবেদ ইউনিভার্সিটি!

Brac University is changing its name, the proposed name is Abed University!
নাম পরিবর্তন হচ্ছে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের, প্রস্তাবিত নাম আবেদ ইউনিভার্সিটি!। ছবি: সংগৃহীত

বেসরকারি ব্রাক ইউনিভার্সিটির নাম বদলে ব্রাক এনজিওর প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত স্যার ফজলে হাসান আবেদ-এর নামে করার উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃৃপক্ষ। ইতোমধ্যে নাম পরিবর্তনের বিষয়ে মতামত চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) চিঠি দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন নাম হিসেবে ‘স্যার ফজলে হাসান আবেদ ইউনিভার্সিটি’ বা সংক্ষেপে ‘আবেদ ইউনিভার্সিটি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ এর ৩১তম সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে ‘স্যার ফজলে হাসান আবেদ ইউনিভার্সিটি’ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তখন স্যার ফজলে হাসান আবেদ জীবিত ছিলেন। একই বছরের ২০ ডিসেম্বর তিনি মারা যান।

ওই সিদ্ধান্তের তিন বছর পর চলতি বছরের ২৮ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অনুমতি নিয়ে নাম পরিবর্তনের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যেখানে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন নাম হিসেবে স্যার ফজলে হাসান আবেদ ইউনিভার্সিটি বা সংক্ষেপে আবেদ ইউনিভার্সিটি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইউজিসি সূত্র বলছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুসারে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকা অবস্থায় কোনো প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি নাম পরিবর্তনের বিধান নেই। তাই এ বিষয়ে আইন শাখার মত চাওয়া হয়েছে। নাম পরিবর্তনের প্রক্রিয়াটি সময়সাপেক্ষ হতে পারে বলেও জানিয়েছে সূত্র।

যদিও বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম পরিবর্তনের কারণে পরবর্তীতে নানা জটিলতায় পরার আশঙ্কা করছেন কিছু সাবেক শিক্ষার্থী। তাদের শঙ্কা, নাম পরিবর্তন করা হলে তাদের সার্টিফিকেট নিয়ে কিছু জটিলতা তৈরি হতে পারে। তবে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতার প্রতি সম্মান জানানোর এই উদ্যোগে খুশি।

এদিকে, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ডাউল্যান্ড শিক্ষা মন্ত্রনালয়কে আশ্বস্ত করেছেন, নাম পরিবর্তনের ফলে কারও একাডেমিক সার্টিফিকেট, ডিগ্রি বা কনফার্মেশন লেটার হালনাগাদ করার প্রয়োজন হলে কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

২০০১ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে।