শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর পরিবারের প্রথম আগ্রহ থাকে, সে কার মতো দেখতে হলো, যথেষ্ট বড় না ছোট ইত্যাদি নিয়ে। কিন্তু এসবের চেয়েও জরুরি বিষয় হলো, শিশুটি সুস্থ ও স্বাভাবিক কি না। তা আগে জানতে হবে।
১. বগলের তাপমাত্রা ৩৬.৫-৩৭.৫ ডিগ্রি।
নবজাতকের স্বাভাবিক বগলের তাপমাত্রা ৩৬.৫-৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর বেশি বা কম হলে শিশু অসুস্থ হতে পারে।
২. ওজন ২.৫-৪কেজি হবে।
নবজাতকের স্বাভাবিক ওজন ২.৫-৪কেজি। এর বেশি বা কম হলে শিশু অসুস্থ হতে পারে।
৩. জন্মের পরই কান্না করবে।
নবজাতক শিশু জন্মের পরই কান্না করে। এটি তার শ্বাস নেওয়ার এবং বুকের দুধ খাওয়ার ইচ্ছার ইঙ্গিত।
৪. জন্মের পরই দুধ চুষতে হবে।
নবজাতক শিশু জন্মের পরই মায়ের বুকের দুধ চুষতে হবে। এটি তার পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে।
৫. কালো পায়খানা ২৪ঘন্টার ভিতরে হবে।
নবজাতক শিশুর প্রথম পায়খানা কালো হয় এবং মলের মতো হয়। এটি মায়ের জরায়ু থেকে বেরিয়ে আসা জলের সাথে মিশে থাকা মেকোনিয়াম নামক একটি পদার্থ।
৬. নবজাতক শিশু ১৮ ঘণ্টা ঘুমায়।
নবজাতক শিশুরা সাধারণত ঘুমিয়ে কাটায়। তারা প্রতিদিন ১৮-২০ ঘণ্টা ঘুমায়।
৭. প্রস্রাব ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হবে।
নবজাতক শিশুর প্রস্রাব সাধারণত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হয়। এটি তার শরীরে তরল পদার্থের ভারসাম্য বজায় রাখে।
এই লক্ষণগুলি নবজাতকের স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং বিকাশের ইঙ্গিত দেয়। তবে, যদি কোনও শিশুর এই লক্ষণগুলির কোনও একটি না থাকে বা অন্য কোনও অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়, তাহলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।