জুলাই ২৭, ২০২৪

শনিবার ২৭ জুলাই, ২০২৪

দেশের মানুষের ওপর ক্ষোভ জায়েদ খানের

Zayed Khan's anger on the people of the country
দেশের মানুষের ওপর ক্ষোভ জায়েদ খানের। ছবি: ফেসবুক

ঢাকাই সিনেমার নায়ক জায়েদ খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই আলোচনায় থাকেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর গিয়ে এর মধ্যেই হঠাৎ করে “টক অব দ্য টাউনে” পরিণত হন জায়েদ খান।

দেশের একাধিক গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করে, যুক্তরাষ্ট্রে “ইনস্টিটিউট অব পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি রিসার্চ” এবং “হিউম্যানিটারিয়ান ফোকাস ফাউন্ডেশন” নামে দুটি সংস্থা যৌথভাবে সারা বিশ্ব থেকে ৪০ জন ব্যক্তিকে “দ্য হিউম্যানিটারিয়ান লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড” দিয়েছে।

কোভিড -১৯ মহামারি চলাকালীন শিল্পীদের জন্য খাদ্য সহায়তাসহ তার বিভিন্ন মানবিক কার্যক্রমের কারণে সংস্থাটি তাকে এই অ্যাওয়ার্ডের জন্য নির্বাচিত করেছে। এই অভিনেতা নিজে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে শেয়ার করেন এ খবর।

বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হলে এর সত্যতা যাচাই-বাছাই শুরু করে সমসাময়িক আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কাজ করা পোর্টাল ব্লিটজ। বিষয়টি জানতে জাতিসংঘ কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ করে তারা।

ব্লিটজ জানায়, জায়েদ খানকে পুরস্কৃত করা “ইনস্টিটিউট অব পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি রিসার্চ”জাতিসংঘের অনুমোদিত কোনো সংস্থা নয়।

এরপর নেটিজেনরা আরও বেশি করে জায়েদ খানের সমালোচনায় মেতে ওঠেন। তবে সেটিকে ভালোভাবে নেননি জায়েদ খান।

তার ভাষ্য, দেশের একটা ছেলে এ ধরনের অ্যাওযার্ড পাওয়ায় সবার খুশি হওয়া উচিত ছিল। খুশি না হয়ে বরং সমালোচনা করায় বিরক্তি প্রকাশ করেছেন তিনি।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফোনে নিজের বিরক্তির কথা জানান তিনি।

সমালোচনার বিপরীতে ক্ষোভ প্রকাশ করে জায়েদ খান বলেন, “এটাতে বাংলাদেশের মানুষের খুশি হয়ে যাওয়ার কথা, গর্ব হওয়ার কথা যে বাংলাদেশের একটা ছেলে পুরস্কার পেয়েছে। সেটাকে নিয়ে উল্টাপাল্টা কথা, এত নেগেটিভ কথাবার্তা মানুষের। আমি এগুলো গায়ে মাখি না। কিন্তু কতটা ছোট জাতি, তোরা তো আরও গর্ব করবি যে, ওখানে বলা হয়েছে জায়েদ খান ফিল্ম অ্যাক্টর বাংলাদেশ। আমি তাদের ভিডিও দিলাম। ভিডিওতে দেখা গেল আমাকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হচ্ছে। তারপরও এ ধরনের কথাবার্তা বলার কোনো ভ্যালু আছে?”

ব্লিটজ তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এমন প্রচুর সংস্থা রয়েছে যার বেশিরভাগই আফ্রো-আমেরিকানদের দ্বারা পরিচালিত। এসব সংস্থা নগদ অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন ব্যক্তিদের এই ধরনের পুরস্কার দিয়ে থাকে। নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতেই তারা জো বাইডেনের মতো বড় বড় ব্যক্তিদের নামও পুরস্কারের তালিকায় যুক্ত করেন।