ডেঙ্গু ভয়াবহ রুপ ধারণ করেছে সারাদেশে। প্রতিটি জেলা শহরের একাধিক স্থানে মিলেছে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার উপস্থিতি। কুমিল্লায়সহ পটুয়াখালী ও নড়াইলে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। নড়াইলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও সদর হাসপাতালে নেই ডেঙ্গু কর্নার। পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতেও ছড়িয়েছে ডেঙ্গু। উত্তরের জেলা দিনাজপুরে আক্রান্তদের বেশিরভাগ ঢাকাফেরত। রংপুরে জনসচেতনতা বাড়াতে চলছে অভিযান।
নড়াইলে দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। শহরের চেয়ে গ্রামাঞ্চলে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। আক্রান্তদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।
সদর হাসপাতালের চারপাশ মশাদের অভয়াশ্রম। লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আশপাশেও জলাবদ্ধতা ও ঝোপ-জঙ্গল। হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে অন্য রোগীদের পাশেই। এজন্য জনবল সংকট ও পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
নড়াইল সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল গফফার বলেন, “চেষ্টা করছি, ডেঙ্গু কর্নার করে চিকিৎসা সেবা দেবার।”
নড়াইল সিভিল সার্জন ডা. সাজেদা বেগম পলিন বলেন, “জুলাই মাস থেকে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যাটা দ্রুতই বেড়েছে। তবে সেটা নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।”
কুমিল্লা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, কুমিল্লা নগরীর জাঙ্গালিয়া ও শাসনগাছা বাস টার্মিনালে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। সচেতন না হলে ডেঙ্গু মহামারি আকার ধারণ করতে পারে।
রাঙামাটিতেও ডেঙ্গু আক্রান্ত অনেক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ রোগের লক্ষণ দেখা দিলে প্রচুর তরল খাওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. শওকত আকবর বলেন, “অনেকে বুঝতেই পারছেনা যে রোগী খারাপের দিকে যাচ্ছে। এ জন্য জ্বর হলেই দ্রুত ডাক্তার পরামর্শ নিন, বেশি বেশি করে তরল খাবার খাবেন।”
দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর বেশিরভাগই ঈদের সময় ঢাকা থেকে যাওয়া।
এদিকে, নড়াইলে শহরের চেয়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত বেশি হচ্ছে গ্রামে। হাসপাতালের পাশের ড্রেন ও ঝোপঝাড়ে জন্ম নিচ্ছে মশার লার্ভা। রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালে অন্য রোগীদের সাথেই চিকিৎসা নিতে হচ্ছে ডেঙ্গু আক্রান্তদের।