তৃতীয় দফায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। গতকাল রোববারের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ রান-অফ নির্বাচনে কেমাল কিলিচদারোগলুকে পরাজিত করে আরও পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতা নিশ্চিত করেন তিনি।
আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে, দ্বিতীয় দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলের পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নিজের বিজয়কে গণতন্ত্রের বিজয় হিসেবে অভিহিত করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।
এরদোয়ানের জয়ের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, হাঙ্গেরি, কাতার, লিবিয়া, সার্বিয়া, রাশিয়া, আজারবাইজান ও ফিলিস্তিনের সরকার প্রধানেরা সহ বিশ্বের বহু দেশ থেকে অভিনন্দন বার্তা দেওয়া হয়েছে।
কাতারের আমির তুরুস্কের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে অভিনন্দন জানিয়ে টুইটে লেখেন, ‘প্রিয় ভাই রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, এ বিজয়ের জন্য আপনাকে অভিনন্দন।’
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ওরবান ভিক্টর টুইটে লেখেন, ‘নির্বাচনে প্রশ্নাতীত বিজয়ের জন্য রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে অভিনন্দন।’
লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দিবেহ এরদোয়ানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। দিবেহ বলেছেন, ‘এ নির্বাচনে এরদোয়ানের বিজয়ে রাষ্ট্রপতির সফল প্রকল্প ও নীতির প্রতি তুর্কি জনগণের আস্থার নবায়ন হলো।’
ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়েহ ফলাফল প্রকাশের পর এরদোয়ান ও তুর্কি জনগণকে নির্বাচনে বিজয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এরদোয়ানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাইডেন টুইটে লিখেছেন, ন্যাটোর পার্টনার হিসেবে এরদোয়ানকে তিনি অভিনন্দন জানাচ্ছেন। বিশ্ব শান্তি রক্ষার জন্য এরদোয়ানের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
প্রায় কাছাকাছি সময়েই এরদোয়ানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি লিখেছেন, এরদোয়ানের জয় অবশ্যম্ভাবী ছিল। কারণ, তুরস্ককে এত দিন ধরে যোগ্য নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি রাশিয়ার বন্ধু হিসেবেও এরদোয়ানের তুরস্ককে চিহ্নিত করেছেন পুতিন। ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও গাঢ় হবে, এমন আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
এই নিয়ে তৃতীয় মেয়াদে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন এরদোয়ান। এর আগে ২০১৪ সালে ও ২০১৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করেন তিনি।
২০০৩ সালের ১৫ মার্চ দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা নিয়েছিলেন তিনি। পরে ২০১৪ সালে তুরস্ককে সংসদীয় ব্যবস্থা থেকে প্রেসিডেনশিয়াল পদ্ধতিতে রূপান্তর করেন। বিরোধীদের মতে, একক ক্ষমতা উপভোগ করতেই শাসনব্যবস্থায় এমন পরিবর্তন আনেন এরদোয়ান।