মে ১০, ২০২৫

শনিবার ১০ মে, ২০২৫

তনু হত্যার ৯ বছরেও খোলেনি রহস্য, হতাশ পরিবার

Sohagi Jahan Tonu
সোহাগী জাহান তনু | ছবি: সংগৃহীত

আজ ২০ মার্চ, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের ৯ বছর পূর্ণ হলো। দীর্ঘ নয় বছরেও চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার তদন্তে কোনো অগ্রগতি নেই। বিচারের দাবিতে দেশ থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও শোরগোল উঠলেও, তনুর পরিবার হতাশ হলেও আজও বিচারের আশায় দিন গুনছে। 

তনু হত্যার বিচারের আশা ছেড়ে দিলেও পরিবর্তিত সরকার ব্যবস্থার কারণে আবারও বিচার পাওয়ার আশা করছেন তনুর মা-বাবা।

বিচার না পাওয়া নিয়ে মামলার বাদী তনুর বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহকারী ইয়ার হোসেন বলেন, এতদিন আওয়ামী লীগ সরকার ছিল, তারা চায়নি এ মামলার বিচার হোক। এখন আমরা ড. ইউনূস সরকারের কাছে বিচার চাই।

তিনি আরও বলেন, যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে রহস্য বের হতো, তাদেরই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না। পরিবারের প্রতিটি সদস্য ও আত্মীয়স্বজন এমনকি শিক্ষকরাও সাক্ষ্য দিয়েছেন, আর কি বাকি রইল? বিচার চেয়ে কী লাভ? গরিবের ওপর জুলুমের বিচার হয় না।

তনুর মা আনোয়ারা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের বলেন, তনুকে অনেক কষ্ট করে বড় করেছি। কী বেদনা নিয়ে বেঁচে আছি, আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। ৯ বছর যারা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন তাদেরও আইনের আওতায় আনা হোক। তারা মামলা নষ্ট করে দিয়েছে। ওদেরও বিচার করতে হবে। পিবিআই আমার মেয়ে হত্যায় জড়িত কাউকে ধরতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, ঢাকায় বসে আমাদের ডেকে পাঠিয়ে উল্টো হয়রানি করেছে। আমরা গরিব বলে মেয়ে হত্যার বিচার পাব না। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার যদি দুনিয়ায় না হয়, আল্লাহর কাছে বিচার দিয়ে রাখলাম। আল্লাহর বিচার বড় বিচার।

এ বিষয়ে পিবিআইর প্রধান কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. তরিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ‘মামলাটি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। তদন্ত কার্যক্রম চলমান। আসামি শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২০ মার্চ সন্ধ্যায় টিউশনি করতে গিয়ে বাসায় ফেরেননি তনু। পরে স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করে রাতে বাসার অদূরে একটি জঙ্গলে তনুর মরদেহ পায়। পরেরদিন তার বাবা ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।

আরও পড়ুন