
রাজধানীবাসী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালুর মাধ্যমে বাধাহীন যাত্রাপথ পাচ্ছেন আগামী শনিবার থেকে। উদ্বোধনের পরদিন ১৩টি পয়েন্ট দিয়ে চলাচল করতে পারবেন সর্বসাধারণ। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে তৈরি এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন।
এদিন আংশিকভাবে চালু হতে যাচ্ছে গতিময় এই সড়ক। আপাতত ২০ কিলোমিটারের মধ্যে খুলে দেওয়া হবে ১২ কিলোমিটার।
এই যাত্রায় বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেইট পর্যন্ত অংশের ৫টি পয়েন্ট দিয়ে, গাড়ি উঠতে ও নামতে পারবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে। এর মধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উঠা ও নামার জন্য থাকবে একটি করে র্যাম্প। কুড়িলে উঠার পথ ২টি আর নামার একটি। বনানীতে দুটি র্যাম্প উঠার আর দুটি নামার। মহাখালীতে নামা যাবে দুই পথে,তবে উঠা যাবে একটি পথে। আর ফার্মগেটে নামার পথ একটি তেঁজগাও কলেজের সামনে, আর উঠার র্যাম্প ৩টি। শুরুতে মোট ১৬টি র্যাম্পের মধ্যে ১৩টিতে যানবাহন চলাচল করবে।
এরইমধ্যে ঘোষণা দেয়া হয়েছে, এই পথে উঠবে না তিন-চাকার আর দুই চাকার কোনো যানবাহন। থাকবে না ফুটপাত। নির্ধারণ করা হয়েছে যানবাহনের টোলও। প্রাইভেট কারে সর্বনিম্ন ৮০ টাকা। একই টোল-হার মাইক্রোবাস, পিকআপ, হালকা ট্রাকের ক্ষেত্রে। তবে মাঝারি ট্রাকে ৩২০ টাকা এবং ভারী ট্রাক চলাচলে গুনতে হবে ৪শ’ টাকা। এছাড়া বাস-মিনিবাসে গুনতে হবে ১৬০ টাকা।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি চালু হলে হেমায়েতপুর-কদমতলী-নিমতলী-সিরাজদিখান-মদনগঞ্জ-ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক-মদনপুরে সরাসরি সংযোগ স্থাপন হবে। এতে বিমানবন্দর ও যাত্রাবাড়ী রুটের যাত্রীরা কম সময়ে গন্তব্যে যেতে পারবেন। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম, সিলেটসহ পূর্বাঞ্চল ও পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ না করে সরাসরি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রবেশ করতে পারবেন। উত্তরাঞ্চল থেকে আসা যানবাহনগুলো ঢাকাকে বাইপাস করে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সরাসরি যাতায়াত করতে পারবে।