নভেম্বর ৫, ২০২৪

মঙ্গলবার ৫ নভেম্বর, ২০২৪

ডিমের দামে রেকর্ড, পেঁয়াজের বাজারে আবারও অস্থিরতা

Record price of eggs, instability in the onion market
ডিমের দামে রেকর্ড, পেঁয়াজের বাজারে আবারও অস্থিরতা। ছবি: সংগৃহীত

ডিমের দাম যেনো থামার নামই নিচ্ছে না। গত দুই সপ্তাহ ধরে লাফিয়ে বাড়ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে ডজনে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে ডিম এখন ১৬৫ থেকে ১৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি ও আমদানি করা দুই ধরনের পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

গত বছর এই সময়ে প্রথমবারের মতো ডিমের ডজন ১৬০ টাকায় ওঠে। খামারি বা উৎপাদন পর্যায় থেকে শুরু করে পাইকারি ও খুচরা বাজারে একযোগে দাম বেড়েছে।

শুক্রবার (১১ আগস্ট) কুমিল্লার রাজগঞ্জ, চকবাজার এবং বাদশা মিয়া বাজার এলাকার বাজার ও সুপারশপ ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির বাদামি রঙের ডিম বিক্রি করা হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায়। গত সপ্তাহে এই ডিম প্রতি ডজন বিক্রি করা হয় ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়।

যেখানে দুই সপ্তাহ আগে খুচরা বিক্রি হয় প্রতি ডজন ১৪৫ টাকায়।

দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে ছিল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি করা হয় ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা এবং সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

পাইকারি ও খুচরা ডিম ব্যবসায়ীরা বলছেন, মাছ-মাংস বাড়তি দামে বিক্রি হওয়ার কারণে ডিমের ওপর চাপ বেড়েছে। এতে চাহিদাও খুব বেড়ে গেছে। এর মধ্যে টানা কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে ডিম সংগ্রহ ও সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

বাদশা মিয়া বাজার এর এক ব্যবসায়ী বলেন, খুচরায় প্রতি ডজন ডিম এখন ১৬৫ টাকার নিচে বিক্রি করা যাচ্ছে না। কেউ হালি কিনলে অন্তত ৫৮ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। গত দুই সপ্তাহে পাইকারি পর্যায়ে কয়েক দফায় বেড়েছে ডিমের দাম। এতে ডিমের বিক্রিও অনেকটা কমে গেছে। যারা আগে এক ডজন করে কিনত, তারা এখন এক হালি করে নিচ্ছে। কেউ কেউ দু-একটা ডিমও কিনতে আসছে। প্রতি পিস ডিমের দাম রাখা হচ্ছে ১৫ টাকা।

সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে প্রতি হালি ডিমের দাম প্রায় ১০ শতাংশ বেড়েছে। গত বছর একই সময়ের তুলনায় প্রতি হালি ডিম ২৫ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

গত বছর ডিমের দামে নৈরাজ্যের কারণে তদারকির মাধ্যমে মূল্য সহনীয় করা হয়েছিল। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়েছিল জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।