
কখনো মুষলধারে, কখনো থেমে থেমে বৃষ্টি চলছে। যার কারণে পানির নিচে ভাসছে চট্টগ্রাম নগরবাসী। গত তিনদিনের ভারী বর্ষণের ফলে নগরীর বেশিরভাগ এলাকা ডুবে গেছে। শহরে চলছে নৌকা। সাঁতরিয়ে চলছে কর্মজীবী মানুষও।
সড়ক ছাড়িয়ে অলিগলিও তলিয়ে গেছে। নগরীর নিম্নাঞ্চল, নিচু এলাকাগুলোর ভবন, বাসা-বাড়ি, দোকানপাট, স্কুল-কলেজ ও ছোট-বড় বহুতল ভবন, অফিসে, মসজিদেও পানি ঢুকেছে। ভারী বর্ষণের কারণে জলপথে পণ্য পরিবহন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা বিরাজ করছে। সবমিলিয়ে নিদারুণ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে চট্টগ্রামের মানুষ।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পানিতে থইথই করছিল পাশাপাশি অবস্থিত এই দুটি এলাকা। বহদ্দারহাট-বাদুরতলা-চকবাজার সড়কের কাপাসগোলা এলাকাটি এক প্রকার ডোবায় পরিণত হয়। সড়কটির কোথাও কোথাও হাঁটু থেকে কোমরপানি জমে যায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরের বাকলিয়া, চকবাজার, কাতালগঞ্জ, শুলকবহর, আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক তলিয়ে গেছে।
এদিকে চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ জহিরুল ইসলাম বলেন, “উপকূলীয় এলাকা থেকে শহরের দিকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেশি। রবিবার (৬ আগস্ট) বিকাল ৩টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় পতেঙ্গা আবহাওয়া স্টেশনে ২৩১ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এটি চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। মৌসুমি বায়ু, খন্ড মেঘ এবং সমুদ্রে বায়ুর চাপের আধিক্যের কারণে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আরো দুই থেকে তিন দিন এমন ভারী বর্ষণ থাকার সম্ভবনা রয়েছে।