আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে আগ্রহী পর্যটকদের নিয়ে নিখোঁজ হওয়া সাবমেরিন বা ডুবোযান টাইটানের বিস্ফোরণে আরোহীদের নিহত হওয়া প্রসঙ্গে কথা বলেছেন বিশ্ববিখ্যাত টাইটানিক চলচ্চিত্রের পরিচালক জেমস ক্যামেরন।
তিনি বলেন,আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে ‘টাইটান’ নিখোঁজের খবর জানার পরই,আমি বঝতে পেরেছি সাবমেরিনটির পরিণতি।
বিবিসিকে ক্যামেরন বলেন, ‘কী ঘটেছে, তা আমি হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। সাবমেরিনটির ইলেকট্রনিক ব্যবস্থা, যোগাযোগব্যবস্থা ও ট্র্যাকিং ট্রান্সপন্ডার একই সঙ্গে নিষ্ক্রিয় হয়েছে। এই তথ্য জেনে তৎক্ষণাৎ বুঝতে পেরেছি, সাবমেরিনটি শেষ। কেননা, একটি চরম বিপর্যয়মূলক ঘটনা ছাড়া এগুলো একত্রে নিষ্ক্রিয় হতে পারে না।’
ক্যামেরন জানান, গত রোববার টাইটান যখন নিখোঁজ হয়, তখন তিনি একটি জাহাজে ছিলেন। সোমবার পর্যন্ত তিনি টাইটানের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে কিছুই জানতেন না।
ঘটনাটি জানার পর ক্যামেরনের মাথায় প্রথমেই যে বিষয়টি এসেছিল, তা হলো—বিস্ফোরণ। এই নির্মাতার কথার সঙ্গে মিলে যায় যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডের রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মুগের কথা
আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষের পাশেই পাওয়া গেছে সাবমেরিনের টাইটানের ধ্বংসস্তূপ। চার দিন মহাসাগরের তলদেশে ব্যাপক তল্লাশির পর গতকাল বৃহস্পতিবার উদ্ধারকারীরা ডুবোযানটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে বলে জানান।
বৃহস্পতিবার প্রথম টাইটানের মালিকানা প্রতিষ্ঠান ওশানগেট এক্সপেডিশন্সের পক্ষ থেকে পাঁচ আরোহীর মৃত্যুর কথা জানানো হয়। প্রথমে ‘ভয়ংকর বিস্ফোরণে’ ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়ার আশঙ্কার কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র কোস্ট গার্ড। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তা রিয়ার এডমিরাল জন মাগার বলেন, “ধ্বংসস্তূপের যে চিত্র পাওয়া গেছে তা ‘বিপর্যকর বিস্ফোরণের’ সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।”