ডিসেম্বর ১০, ২০২৪

মঙ্গলবার ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪

জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪: যেসব পণ্যের দাম বাড়বে বা কমবে

জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪: যেসব পণ্যের দাম বাড়বে বা কমবে
জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪: যেসব পণ্যের দাম বাড়বে বা কমবে

দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেলে পেশ করা এই বাজেট নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে পাওয়া যাচ্ছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। এরমধ্যে সরকারের ব্যয় চালাতে এনবিআরকে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের টার্গেট দেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে কর রাজস্ব আদায়ের অঙ্ক চলতি (২০২২-২৩) লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬২ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে।

বিপরীতে নতুন অর্থবছরের বাজেটে ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। যা চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ১ লাখ ১ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা বেশি। এর ফলে বেশকিছু পণ্যের দাম কমতে পারে বা কমবে।

দাম বাড়তে পারে যেসব পণ্যের

প্লাস্টিক ও অ্যালুমিনিয়ামের তৈজসপত্র, টিস্যু পেপার, সফটওয়্যার, পেপার টাওয়েল, কলম, মোবাইল ফোন, কাজুবাদাম, খেজুর, ২০০০ সিসির ওপরের গাড়ি, সিগারেট, বাসমতি চাল, সিমেন্ট, বিদেশি টাইলস, এলপি গ্যাসের ওয়েল্ডিং ওয়্যার, বিদেশি মাইক্রোওয়েভ ওভেন, সাইকেলের যন্ত্রাংশ, সিরিশ কাগজ, গ্লু ও আঠা, ল্যাপটপ, বিদেশি ফল, বিদেশি পাখি, সফটওয়্যার, প্রিন্টার, টোনার, লিফট, প্রিন্টিং প্লেট, সোলার প্যানেল, কাগজের কাপ-প্লেট, জিআই ফিটিংস, অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল, অপটিকাল ফাইবার ক্যাবল প্রভৃতি।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে এসব পণ্য ও উপকরণে শুল্ক বাড়ানো ছাড়াও ভ্যাট বাড়ানোর ঘোষণা আসতে পারে।

দাম কমতে পারে যেসব পণ্যের

আর দাম কমবে- মাংস, দেশি, হাতে তৈরি বিস্কুট–কেক, এলইডি বাল্ব ও সুইচ-সকেট, মিষ্টি জাতীয় পণ্য, ই-কমার্সের ডেলিভারি চার্জ, কৃষি যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম, ডায়াপার,ক্যান্সার, ডায়বেটিস, ম্যালেরিয়া
ও যক্ষ্মার ওষুধ, ন্যাপকিন, সাবান ও শ্যাম্পু, বিমানের ইঞ্জিন ও যন্ত্রাংশ প্রভৃতির।

এছাড়া নতুন অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশের ঘরে রাখা হয়েছে। টাকার অঙ্কে ঘাটতি বাজেটের পরিমাণ (অনুদানসহ) ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। এরমধ্যে ঘাটতি মেটাতে বিদেশি ঋণ বাবদ পাওয়া যাবে ১ লাখ ২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। পাশাপাশি সরকার অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন খাত থেকে ঋণ নেবে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। আর অভ্যন্তরীণ ঋণের মধ্যে সরকার ব্যাংক ব্যবস্থাপনা থেকে নেবে ১ লাখ ২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র বিক্রির মাধ্যমে নেবে ১৮ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে নেবে ৫ হাজার কোটি টাকা।