
গত ২২ জুন (রবিবার) গ্রীষ্মকালীন ও পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শেষে খুলেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু এখনো কপাট খোলেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার। এদিকে এতদিন কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়া ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনের হোটেলগুলোয় নিম্নমানের খাবার পরিবেশন এবং মান অনুযায়ী দাম বেশি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
পরিসংখ্যান বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের আমিনুল ইসলাম ভূঁঁইয়া বলেন, ”ক্যাফেটেরিয়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্ররা নিয়মিত খাবার খেয়ে থাকে যা বাহিরের হোটেলগুলো থেকে তুলনামূলক কম দামে। এখানে আমাদের সবার আর্থিক অবস্থা এক রকম নয়। তাছাড়া আমাদের ক্লাস সকাল নয়টায় শুরু হওয়ায় বাহিরের হোটেলে নাস্তা করলে কিছুটা সময় নষ্ট হয়। যদি ক্যাফে খোলা থাকতো তাহলে আমাদের সময় টা বেচে যেতো, যেহেতু ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে এটি অবস্থিত। তাই অতিদ্রুত ক্যাফেটেরিয়া চালু করা হোক।”
মার্কেটিং বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. আবু হানিফ বলেন, “ক্যাফেটেরিয়া যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী অল্প দামে খাবার গ্রহণ করে। তবে এটা দুঃখজনক হলেও সত্যি যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া আমাদের সেই চাহিদা পূরণ করতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে ক্যাফেটেরিয়ার বিভিন্ন অনিয়ম চোখে পড়ে। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার সরবরাহ না করা, সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে ক্যাফেটেরিয়া বন্ধ থাকা, বিশুদ্ধ পানির অভাবসহ আরও বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত আমাদের ক্যাফেটেরিয়া। গত ২২ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস – পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হলেও ক্যাফেটেরিয়া বন্ধই পড়ে আছে। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো বিবৃতি দেয়নি। যা আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য ভোগান্তির কারণ। একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে যথা শিগগিরই আমাদের ক্যাফেটেরিয়া সমস্যার সমাধান করে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি ।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবদুল্লাহ আল মাহবুব বলেন, “আমরা টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করেছি। যাদের পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে তারা এখনো আমাদের সাথে চুক্তি করেনি। আমরা চেষ্টা করছি খুব দ্রুতই ক্যাফেটেরিয়া খুলে দেওয়ার। আশাকরি ভালো খাবার ও ভাল পরিবেশেই ক্যাফেটেরিয়া শুরু হবে। আমরা প্রতিনিয়ত যোগাযোগ করছি। ক্যাফেটেরিয়ায় যেন ভালো খাবার পাওয়া যায়, এই প্রক্রিয়ার জন্যই এত সময় লাগছে। “