জুলাই ২৭, ২০২৪

শনিবার ২৭ জুলাই, ২০২৪

ছবি তোলার অভিযোগে শিক্ষার্থীদের মলমূত্র খাইয়ে নির্যাতন শিক্ষিকার

ছবি তোলার অভিযোগে শিক্ষার্থীদের মলমূত্র খাইয়ে নির্যাতন শিক্ষিকার
ছবি তোলার অভিযোগে শিক্ষার্থীদের মলমূত্র খাইয়ে নির্যাতন শিক্ষিকার।

বরগুনার আমতলীতে একটি মাদ্রাসায় বিচারের নামে ১০ ছাত্রীকে মারধর এবং মলমূত্র খাইয়ে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে শিক্ষক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার রাতে আমতলী পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের মাদানীনগর জামিয়া সাইয়েদা ফাতিমা বালিকা হাফিজিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় রবিবার (৪ জুন) আমতলী নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভগী এক ছাত্রীর অভিভাবক।

জানাগেছে, উপজেলার মাদানীনগর জামিয়া সাইয়েদা ফাতিমা বালিকা হাফিজিয়া মাদ্রসায় জামিলা, জান্নাতুল ফেরদৌসী, মারিয়া ইসলাম, রুবাইয়া, সাদিয়া, মারহামা,মারুফা, নুসাইবা নাজরানা বিভাগে লেখাপড়া করে। গত শুক্রবার রাতে মাদ্রাসার শিক্ষক তাসলিমা বেগমের মেয়ে নুসরাত অভিযোগ তোলে ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসি মোবাইলে তার ছবি তুলেছেন। ছবি তোলার অভিযোগে ওই রাতেই ১০ ছাত্রীর বিচারে বসেন শিক্ষিকা তাসলিমা। এক পর্যায় শিক্ষিকা তাসলিমা বেগম, তার স্বামী আব্দুর রশিদ, ছেলে তাইয়েবা ও মেয়ে নুসরাত ১০ ছাত্রীকে মারধর শেষে মলমুত্র, ড্রেনের পঁচা পানি, হাঁসের মল বালতিতে মিশিয়ে জোরপূর্বক খাইয়ে দেয়। এতে ১০ ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও অন্যতম অভিযুক্ত মাওলানা আব্দুর রশিদ ১০ ছাত্রীকে ‘মলমূত্র’ খাওয়ানোর কথা স্বীকার করে বলেন, গত শুক্রবার রাতে মোবাইলে আমার (আব্দুর রশিদের) মেয়ে নুসরাতের ছবি তোলায় তাদের বিচার করে মাদ্রাসা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছি।

যদিও নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রীরা বলছে, ছবি তোলার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

এদিকে, আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) রনজিৎ কুমার সরকার বলেন, এবিষয়ে থানায় কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।