
বাংলাদেশের তুলনায় ভারত, চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ডিম অনেক কম দামে বিক্রি হয়। ডিমের দাম দেশের বাজারে আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। যদিও দেশে ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা রয়েছে।
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ জনসংখ্যার দুই দেশ ভারত ও চীন। এ দুই দেশের প্রতিটির জনসংখ্যা ১৪০ কোটির বেশি। দুই দেশে বাংলাদেশের তুলনায় কম দামে ডিম পাওয়া যায়। এমনকি ভারত বিভিন্ন দেশে লাখ লাখ ডিম রপ্তানিও করে।
এগরেট ডট ইন এর তথ্যানুসারে, ভারতে শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) প্রতি পিস ডিমের গড় দাম ছিল সাড়ে ৪ রুপি; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬ টাকা।
অন্যদিকে চায়নায় পিস হিসেবে ডিম বিক্রি হয় না। দেশটিতে ডিম বিক্রি হয় কেজি দরে। তবে এরপরও দেশটিতে ডিমের দাম বাংলাদেশের তুলনায় অনেক কম।
চায়নার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, চীনের বেইজিংয়ে প্রতি কেজি ডিম ১০ দশমিক ৯ ইউয়ানে বিক্রি হয়; যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬৪ দশমিক ৭৮ টাকা। গড়ে প্রতিটি ডিম ৫০ গ্রাম হিসেব ধরলে প্রতি কেজিতে ২০টি ডিম পাওয়া যায়। সেই হিসেবে চীনে একটি ডিমের দাম পড়ে ৮ দশমিক ২৩ টাকা।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর দাম অনুয়ায়ী প্রতি হালি ডিম ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক বছর আগে যা ৪৮ টাকায় বা তার কমে বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ১২-১৩ টাকায়।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে প্রতিদিন ডিমের চাহিদা ৪ কোটি ৫০ লাখ পিস। আর উৎপাদন আছে ৫ কোটির মতো। এর ফলে ডিমের দাম হুট করে বাড়ার কোনো কারণ নেই। এ ছাড়া পোলট্রি ফিডের দাম বাড়লেও খুচরা পর্যায়ে একটি ডিম কোনোভাবেই ১২ টাকার বেশি হওয়ার কথা না।