অক্টোবর ১১, ২০২৪

শুক্রবার ১১ অক্টোবর, ২০২৪

চাকরি পেতে হলে দিতে হবে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক

Dope test is mandatory to get a job
চাকরি পেতে হলে দিতে হবে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক। ছবি: সংগৃহীত

মাদকদ্রব্যের বিস্তার রোধে সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় সরকারসহ সব প্রতিষ্ঠানে চাকরির ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব দিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)।

দেশে মাদকের ভয়াবহ বিস্তার রোধে এমন সব সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত খসড়া বিধিমালা প্রস্তুত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে ডিএনসি।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুল ওয়াহাব ভূঞা বলেন, মাদকদ্রব্য শনাক্তকরণ পরীক্ষা (ডোপ টেস্ট) বিধিমালা, ২০২২-এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। বর্তমানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে বিবেচনাধীন রয়েছে। খসড়া বিধিমালায় মোট ৪২ বিধি এবং তফসিলে ৫টি ফরম রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় সরকার এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের চাকরিতে নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে মাদক নিয়েছেন মর্মে সন্দেহ হলে, গাড়িচালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া ও নবায়নের ক্ষেত্রে, কর্মরত গাড়িচালকদের বিরুদ্ধে মাদক নিয়েছেন মর্মে সন্দেহ হলে, সরকারি-বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কারও বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে মাদক নেওয়া হয়েছে মর্মে সন্দেহ হলে; বিদেশ গমনে ইচ্ছুক কর্মীদের ক্ষেত্রে; আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স দেওয়া ও নবায়নের ক্ষেত্রে; আকাশযান বা নৌযান চালানোর লাইসেন্স দেওয়া ও নবায়নের ক্ষেত্রে এবং প্রয়োজনে সরকার নির্বাহী আদেশে ডোপ টেস্টের নতুন ক্ষেত্র নির্ধারণ করতে পারবে।

ডিএনসি সূত্রে জানা গেছে, দেশে বর্তমানে মাদকাসক্তের সংখ্যা ৮৫ থেকে ৯০ লাখ। সরকারি সংস্থা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের হিসাবে বর্তমানে মাদকাসক্তের সংখ্যা ৭৫ থেকে ৮০ লাখ। অথচ, মাদক নির্মূলে ২০১৮ সালে সারা দেশে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানের সময় মাদকাসক্তের সংখ্যা ছিল ৩০ থেকে ৩৫ লাখ।

চলতি বছর জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত পাঁচ মাসে মাদকদ্রব্য প্রতিরোধ আইনে সারা দেশে ৪১ হাজার ৭৫৯টি মামলা হয়েছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মানজুরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক হলে শিক্ষার্থীরা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হওয়া যাবে না এমন আশঙ্কায়, চাকরিপ্রতাশীরা চাকরি না হওয়ার ভয়ে মাদক থেকে বিরত থাকবে। এ ছাড়া এর মাধ্যমে মাদকাসক্তদের শনাক্ত করে চিকিৎসার আওতায় আনা যাবে।