
প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালক ও বিশিষ্ট লেখক ফারুক ওয়াসিফ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা ও সাংবাদিকরা এ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। জুলাইয়ে সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বাহিনীর কাছেও বাধার সম্মুখীন হয়েছেন সাংবাদিকরা। এ আন্দোলন হঠাৎ করে আসেনি, এটা শহীদদের আত্মত্যাগের ফল।’
শুক্রবার (৮ আগস্ট) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ‘রক্তিম জুলাই’ সাময়িকীর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘শহীদদের শেষ নিঃশ্বাসে আমরা বেঁচে আছি। তাদের শেষ নিঃশ্বাস এই বাতাসে মিশে আছে, সেই নিঃশ্বাস আমরা গ্রহণ করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘পৃথিবী ঘুরে আবারও জুলাই এসেছে। কিন্তু যারা নেতৃত্ব দিয়েছিল, তারা এখন অর্থাভাবে সাংস্কৃতিক সংগঠন গড়তে পারছে না। এর ফলে তারা হেরে যাচ্ছে, জুলাই হেরে যাচ্ছে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হায়দার আলী বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে ছাত্রদের নেতৃত্ব আমাদের আশা জাগিয়েছে। সাংবাদিকদের উচিত সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থ ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব করা।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোলায়মান বলেন, ‘মূলধারার সাংবাদিকরা ব্যর্থ হলেও ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা জনগণের ভাষা হয়েছেন। গত ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী দখলের কারণে ছাত্ররা তাদের কথা বলতে পারেনি। ক্যাম্পাস সাংবাদিকরাই এখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের আশা-আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরছেন।’
সভাপতির বক্তব্যে কুবিসাসের সভাপতি সাঈদ হাসান বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সাংবাদিকরা মৃত্যু ঝুঁকি নিয়েই সংবাদ সংগ্রহ করেছেন। কুমিল্লার আন্দোলনের গতিপথ পাল্টে দেয় নারী শিক্ষার্থীদের সাহসী অংশগ্রহণ। সেই সময়ে বন্ধুবান্ধবকে রক্ষা করতে অনেকেই নিজের জীবনের পরোয়া করেননি। ১৮ জুলাইয়ের পর শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই নয়, আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।’
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সাময়িকীটি ২০২৪ সালের জুলাইয়ে কুমিল্লায় সংঘটিত ছাত্র-জনতার গণজাগরণ, রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন এবং সাংবাদিকদের চোখে দেখা ঘটনাবলি নিয়ে তৈরি হয়েছে।