
মঙ্গল ও বৃহস্পতির কক্ষপথের মধ্যে অবস্থিত দুটি গ্রহাণুতে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা পানির অণু শনাক্ত করেছেন।
ইনফ্রারেড অ্যাস্ট্রোনমি এয়ারবর্ন টেলিস্কোপের জন্য তৈরি স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারিক অবজারভেটরির একটি যন্ত্র থেকে ডেটা সংগ্রহ করা হয়। সোফিয়া নামে পরিচিত ইনফ্রারেড টেলিস্কোপটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের উপরে স্ট্রাটোস্ফিয়ারের মধ্য দিয়ে একটি বোয়িং ৭৪৭এসপি উড়োজাহাজে চড়ে মহাবিশ্ব পর্যবেক্ষণে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সাময়িকী প্ল্যানেটারি সায়েন্স জার্নালের বরাতে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
সোফিয়া টেলিস্কোপে সংযোজিত ফেইন্ট অবজেক্ট ইনফ্রারেড ক্যামেরার মাধ্যমে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মঙ্গল এবং বৃহস্পতি গ্রহের কক্ষপথের মধ্যে অবস্থিত আইরিস এবং ম্যাসালিয়া নামক দুটি গ্রহাণুতে পানির অণু শনাক্ত করেছেন। এই গ্রহাণু দুটোই সূর্য থেকে ২২ কোটি ৩১ লাখ মাইলেরও বেশি দূরে অবস্থিত।
সান আন্তোনিওর সাউথওয়েস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান গবেষক ড. অ্যানিসিয়া অ্যারেডন্ডো বলেন: “টেলিস্কোপের মাধ্যমে চাঁদে পানির অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ার পর জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা গ্রহাণুতে নতুনভাবে গবেষণা চালিয়ে যেতে উৎসাহিত হন।”
এর আগে, ২০২২ সালের জুলাইতে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপে আমাদের আকাশগঙ্গার ছায়াপথের দূরতম স্থানে পৃথিবীর মতো একটি গ্রহে পানি থাকার চিহ্ন শনাক্ত করা হয়েছিল।
এই আবিষ্কারগুলো মহাবিশ্বে পানি কতটা ব্যাপকভাবে বিদ্যমান তা প্রমাণ করে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে, গ্রহাণু থেকে আগত পানি এবং অন্যান্য উপাদান আদি পৃথিবীতে প্রাণের উৎপত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।