শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, গত পাঁচ বছরে দেশের কোনো পাবলিক পরীক্ষায় কোনো প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যা ছড়িয়েছে সবই গুজব। এ বছর প্রশ্নফাঁসের গুজব অনেক কমে এসেছে। গুজব প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকালে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। এবারের এইচএসসি পরীক্ষাতেও প্রশ্নফাঁসের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে না বলে এ সময় আশা প্রকাশ করেন তিনি।
দীপু মনি বলেছেন, এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল ৬০ দিনের মধ্যে দেয়া হবে। পরে যে তিন বোর্ডে পরীক্ষা শুরু হবে, তাদের ফলাফলও একসাথে দেয়ার চেষ্টা করবে মন্ত্রণালয়। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি এবং এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার চেষ্টা করা হবে।
দেশের ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে সকাল ১০টায় শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষা চলছে। এ পরীক্ষা শেষ হবে দুপুর ১টায়। ৮টি বোর্ডের ১ হাজার ৩৮৪টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ১০ লাখেরও বেশি পরীক্ষার্থী।
তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে স্থগিত বাকি ৩ শিক্ষা বোর্ডের (চট্টগ্রাম, কারিগরি ও মাদরাসা) পরীক্ষা শুরু হবে ২৭ আগস্ট। এ তিন শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থী রয়েছে ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৪৮৬ জন।
সাধারণত প্রতিবছর এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হলেও করোনা মহামারির কারণে গত কয়েক বছর তা সম্ভব হয়নি। করোনার কারণে ২০২০ সালে পরীক্ষা না নিয়েই শিক্ষার্থীদের সনদ দেওয়া হয়। ২০২১ ও ২০২২ সালে পরীক্ষা নেয়া হয়েছিল সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। এবার পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে জুলাইয়ে পরীক্ষা শুরুর সিদ্ধান্ত হলেও তা পিছিয়ে যায় সিলেবাস শেষ না হওয়ার কারণে।