ডিসেম্বর ১১, ২০২৪

বুধবার ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪

কোহলির বেঙ্গালুরুকে উড়িয়ে তিনে উঠে এলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স

কোহলির বেঙ্গালুরুকে উড়িয়ে তিনে উঠে এলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স
বেঙ্গালুরুকে উড়িয়ে তিনে উঠে এলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলের আসরে টিকে থাকতে গেলে মঙ্গলবার রাতে নিজেদের ঘরের মাঠে দুই পয়েন্ট পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ছিল রোহিত শর্মার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দলের। সেটাই প্রমাণ করল তারা। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর করা ১৯৯ রান ২১ বল আর ৬ উইকেট হাতে রেখে অনায়াসে জিতে নিয়েছে রোহিত শর্মারা।

এই জয়ে আট নম্বর থেকে এক লাফে পয়েন্ট তালিকার তিন নম্বরে উঠে এসেছে মুম্বাইয়ের ফ্র‍্যাঞ্চাইজিটি।

মঙ্গলবার (১০ মে) ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে আরয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে ব্যাটিং করতে পাঠালেন রোহিত শর্মা। বিরাট কোহলি আজ সম্পূর্ণ ব্যর্থ। তিন নম্বরে নেমে অনুজ রাওয়াতও জঘন্য শট খেলে ফিরে গেলেন। মনে হয়েছিল রোহিত সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু এরপর খেলাটা ধরে ফেললেন অধিনায়ক দু প্লেসি এবং ম্যাক্সওয়েল। ২৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি করলেন ম্যাক্সওয়েল।

ফাফ ডু প্লেসিস দায়িত্বপূর্ণ ইনিংস খেললেন। তিনি এবং ম্যাক্সওয়েল মিলে ক্রমশ বড় রানের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেলেন বেঙ্গালুরুকে। দশ ওভার শেষে আরসিবির স্কোর ছিল ১০৪ রানের দুই উইকেট। ডু প্লেসি নিজেও হাফ সেঞ্চুরি করে ফেললেন। ১০০ রানের পার্টনারশিপ হয়ে গেল ১১ ওভারের মধ্যে। অন্যদিন পীযূষ চাওলা মুম্বইয়ের হয়ে ধারাবাহিক উইকেট নেন। ওয়াংখেড়েতে চাওলা সম্পূর্ণ ফ্লপ। সবচেয়ে সফল বেরেনদফ। তিনটি উইকেট নিলেন তিনি।

ম্যাক্সওয়েল ৬৮ করে আউট হলেন। লোমরোর বোল্ড হলেন। ৬৫ করে ফিরে গেলেন দু প্লেসি। উইকেট নিলেন ক্যামেরণ গ্রিন। শেষ দিকে দীনেশ কার্তিক বেশ কিছু আক্রমণাত্মক শট খেলেন। এদিন অবশ্য মুম্বাইয়ের ফিল্ডিং যথেষ্ট খারাপ ছিল। কিন্তু আজ খাদের কিনারা থেকে রোহিত এবং তার দলকে বাঁচিয়ে দিলেন সূর্যকুমার যাদব ও নেহাল ওয়াধেরা।

এই দুই ব্যাটার ৬৬ বলে ১৪০ রানের জুটি গড়ে বেঙ্গালুরুর কাছ থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নেন। সূর্যকুমারের ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ৩৫ বল ৭টি চারে ৬টি ছক্কার সৌজন্যে ৮৩ রান। ২২ বছরের তরুণ নেহাল ৩৪ বলে ৫২ রানে অপরাজিত থেকে ১৬.৩ ওভারেই জয়ের বন্দরে নিয়ে যান।

এই জয়ে পয়েন্ট তালিকার আট থেকে তিনে উঠে গেছে মুম্বাই। ১১ ম্যাচে রোহিতদের পয়েন্ট এখন ১২।