
আগামী ৯ মার্চ কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কুসিক মেয়র পদে উপনির্বাচনে লড়তে প্রার্থীদের দিন-রাত চলছে প্রচারণা। এদিকে কুমিল্লা সিটির সাবেক দুইবারের মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন তাঁর স্ত্রী আফরোজা জেসমিন টিকলি।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদের উপনির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় অন্য প্রার্থীদের ওপর চটেছেন মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর স্ত্রী। ২০০৮ সালের পর কারা জমি কিনেছেন, অন্য প্রার্থীদের সেই তালিকা দেখতে বলেছেন সাবেক মেয়র সাক্কুর স্ত্রী আফরোজা জেসমিন টিকলি।
গতকাল মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের থিরা পুকুরপাড়ে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
মনিরুল হক সাক্কুর স্ত্রী বলেন, সাক্কু ২০০৫ সালে কুমিল্লা পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালের পর তিনি কোনো জমি ক্রয় করেননি। ২০০৫ সালের পূর্বে তিনি প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার ছিলেন। তার বাবা এমএলএ ছিলেন। সাক্কু দরিদ্র পরিবারের সন্তান না।
আফরোজা জেসমিন বলেন, যারা ৭৮ ফ্ল্যাট নিয়ে প্রশ্ন করে। তারা অনুসন্ধান করে দেখেন- এটি ১৯৪৭ সালের দলিল। আর আমার শ্বশুর সম্পত্তির মালিক। সাক্কুর সব ভাই বোনসহ এমআরসি ডেভেলপারদের মিলে ৭৮ ফ্ল্যাট। সাক্কুর কোনো অবৈধ সম্পত্তি আছে কিনা? সাক্কু দুর্নীতি করলে শ্বেতপত্র প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, যারা সাক্কুর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে- এসব প্রশ্ন তোলে তারা ২০০৮ সালের পূর্বে কী ছিল? আট সালের পর কারা জমি কিনেছে সেই লিস্ট নেন। ২০০৩ সালের পর সমাজ সেবার জন্য আমরা কতটা বিক্রি করেছি, সেটারও লিস্ট নেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মনিরুল হক সাক্কুর তিন বোন।