আগামী ৯ মার্চ কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। কুসিক মেয়র পদে উপনির্বাচনে লড়তে আজ শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরপরই প্রার্থীরা প্রচারণা শুরু করেছেন।
কুমিল্লা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে প্রচারণার সময় প্রার্থীদের আচরণবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছেন।
প্রতীক বরাদ্দের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন জানান, প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা তাদের আনুষ্ঠানিক প্রচার চালাতে পারবেন। আজ থেকেই প্রার্থীদের আচরণবিধি পর্যবেক্ষণে প্রতি তিন ওয়ার্ডে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করবেন এবং মাঠ পর্যায়ে কাজ করবেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা।
প্রতীক বরাদ্দের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা আরও জানান, দুপুর ২টা থেকে প্রতি ওয়ার্ডে একটি মাইক ব্যবহার করা যাবে, কোথাও কোনো খাবার ও পানীয় বিতরণের সুযোগ নেই, উঠান বৈঠক পথসভা অবশ্যই পুলিশকে জানাতে হবে, প্রচারণায় সরকারি প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তা কর্মচারিদের ব্যবহার করা যাবে না এবং মনিটরিং কমিটিতে প্রার্থীদের প্রতিনিধি থাকবে।
কুমিল্লায় মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের দুইবারের সাবেক মেয়র ও বিএনপির সাবেক নেতা মনিরুল হক সাক্কু পেয়েছেন টেবিল ঘড়ি প্রতীক। এ ছাড়াও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাহসিন বাহার সূচনা পেয়েছেন বাস প্রতীক, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম পেয়েছেন হাতি প্রতীক, কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার পেয়েছেন ঘোড়া প্রতীক।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে কুমিল্লা সিটিতে দুই লাখ ৪২ হাজার ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ১৮ হাজার ১৮২ জন পুরুষ ভোটার এবং ১ লাখ ২৮ হাজার ২৭৮ জন নারী ভোটার রয়েছেন। এ ছাড়া ২ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।
এর আগে গত নির্বাচনে সিটিতে ভোটার ছিল ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ছিল ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন, পুরুষ ভোটার ছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন। এবার উপনির্বাচনে পুরুষ ও নারী ভোটার বেড়েছে ১২ হাজার ৫৩৮ জন।