
২০২৪ সালের তুলনায় চলতি বছর কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে পাসের হার ও জিপিএ-৫ উভয় ক্ষেত্রেই পিছিয়ে পড়েছে। তবে বরাবরের মতো এবারও সার্বিক ফলাফলে ছেলেদের পেছনে ফেলে এগিয়ে আছে মেয়েরা। গত বছরের তুলনায় পাসের হার কমেছে ১৫.৬৩ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ২১৯৮ জন। এছাড়া একজনও পাস করেনি কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের ইসলামপুর উচ্চবিদ্যালয়ে। ওই বিদ্যালয়ের ৩২ জনের সবাই ফেল করেছে।
এ বছর ২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শতভাগ পাসের গৌরব অর্জন করেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. শামছুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের সচিব অধ্যাপক খোন্দকার ছাদেকুর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক রুনা নাছরীন, উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) মো. কবির উদ্দিন আহমেদ, উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কাজী আপন তিবরানী, হিসাব ও নিরীক্ষা শাখার উপপরিচালক মো. শাহজাহান এবং উপসচিব মাসুম মিল্লাত।
বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এ বছর কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ১ লাখ ৬৭ হাজার ৫৭২ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে পাস করেছে ১ লাখ ৬ হাজার ৫৮১ জন। পাসের হার ৬৩.৬০ শতাংশ। গত বছর এই হার ছিল প্রায় ৭৯.২৩ শতাংশ।
ফলাফলের বিস্তারিত বিশ্লেষণে দেখা যায়, মেয়েদের পাসের হার ৬৪.২৬ শতাংশ, যা ছেলেদের পাসের হার ৬২.৬৯ শতাংশের চেয়ে বেশি। জিপিএ-৫ প্রাপ্তির ক্ষেত্রেও মেয়েরা এগিয়ে। এবার ৫ হাজার ৪৯৫ জন মেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে, যেখানে ছেলে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৪০৭ জন।
শাখাভিত্তিক ফলাফলে বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার সর্বোচ্চ, ৮৮.০১ শতাংশ। মানবিক বিভাগে পাসের হার ৪৬.৭৭ শতাংশ এবং ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় পাসের হার ৫৩.৯২ শতাংশ।