জানুয়ারি ২২, ২০২৫

বুধবার ২২ জানুয়ারি, ২০২৫

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে বইয়ের অপ্রতুলতা দূর করুন

কুমিল্লা শহর থেকে ১১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে কোটবাড়ি শালবন বিহার ও ময়নামতি জাদুঘর সংলগ্ন লালমাই পাহাড়ের ৫০ একর জায়গা নিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থান। যা বাংলাদেশের নবীবতম বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম। দেশের দূর দূরান্ত থেকে আসা হাজারো মেধাবী শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে।

বিশ্ববিদ্যালয়কে ধরা হয় একটি দেশের বুদ্ধিজীবী, গবেষণাবিদ এবং নতুন ভবিষ্যত গঠনের অধ্যায়। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার হলো সেই অধ্যায়ের প্রাণকেন্দ্র। যেখানে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পায় শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক দরিদ্র পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে যাদের বই কেনার মতো সামর্থ্য থাকে না।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হয়ে দুঃখের সাথে বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে গেলে বই পড়ার আগ্রহ জাগবে তো দূরের কথা বরং বিতৃষ্ণা জন্মায়। এর প্রধান কারণ হল— বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে বইয়ের অপ্রতুলতা। যার ফলে শিক্ষার্থীরা নিজেদের চাহিদা মতো বই পাচ্ছে না। জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রে বইয়ের এমন অভাব সত্যিই দুঃখজনক।

গ্রন্থাগারের তথ্যানুয়ী, পুস্তকের সংখ্যা প্রায় ৩০০০০। জার্নালের সংখ্যা ২০০০, ২০ টি দৈনিক সংবাদপত্র, ১০০০ টি রিপোর্ট, গবেষণাপত্র ও ম্যাগাজিনসহ আরও অন্যান্য পাঠোকরণ সংরক্ষিত আছে। যা ৬ টি অনুষদের ১৯ টি বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অপর্যাপ্ত।

পর্যাপ্তসংখ্যক বই কেন নেই? গ্রন্থাগারের আরেকটি সমস্যা হলো বই নিয়ে প্রবেশ করতে দেয় না। আমাদের যদি অন্য কোথাও আলাদা জায়গা করে দেওয়া হয়, তাহলে আমরা বই নিয়ে পড়তে পারবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের কাছে বিশেষভাবে অনুরোধ, শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারমুখী করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের বাজেট বাড়িয়ে দেওয়া এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে একাডেমিক বই থাকার ব্যবস্থা করা হোক। যার এক কপি থাকবে সেমিনারে, আর এক কপি থাকবে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে।

নাদিয়া আফরিন শোভা

স্নাতক প্রথম বর্ষ, বাংলা বিভাগ, সদস্য, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।