নভেম্বর ২৫, ২০২৪

সোমবার ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল বাসে হামলা, ১০ শিক্ষার্থী আহত

Attack on blue bus of Cumilla University, 10 students injured
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল বাসে হামলা, ১০ শিক্ষার্থী আহত। ছবি: কুবি প্রতিনিধি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নীল বাসে হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাত ৮টায় নগরীর টমছম ব্রীজে এ ঘটনা ঘটে।

হামলায় বিভিন্ন বিভাগের অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এ সময় হামলাকারীদের মধ্য থেকে মো. রাকিব নামের একজনকে ধরে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসেন শিক্ষার্থীরা। পরে প্রক্টরিয়াল বডি রাকিবকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।

জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টায় শহর থেকে ক্যাম্পাস অভিমুখে ছেড়ে আসা নীল বাসে কুমিল্লা শহরের টমছম ব্রীজে ইউটার্ন নেওয়ার সময় বাস হেলপার এক অটোকে সাইড করতে বলেন। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে অটোতে থাকা দুইজনই তেড়ে আসে হেলপারের দিকে। বাসে শিক্ষার্থী থাকায় কোন সুযোগ না পেয়ে আজ তারা ৪০-৫০ জন প্রথমে বাস ড্রাইভার ও হেলপারের উপর রড, এসএস পাইপ, লাঠি, গ্যাস পাইপ দিয়ে বাসে এলোপাতাড়ি আঘাত করে দূরে পালিয়ে যায়। এ সময় নারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করেন হামলাকারীরা।

হামলায় আহত জুবায়ের মাহমুদ সাকিব বলেন, টমছম ব্রীজে ইউটার্ন নেওয়ার সময় ২৫-৩০ জন লোক আমাদের বাসে অতর্কিত হামলা করে। এতে আমরা সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। তাদের হাতে লাঠি-শোঠা, স্টেইলেস স্টিল / এস এস পাইপ এবং বাঁশ ছিল। হামলার পর আমরা কয়েকজন মিলে তাদের দৌঁড়ে ধরার চেষ্টা করি। আমি যখন ওদের ধরতে যাই, তখন এস এস পাইপ দিয়ে আমার ডান হাতে আঘাত করে। এতে আমার ডান হাতের কনুই মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়।

আঘাতপ্রাপ্ত আদনান হোসাইন শাহেদ বলেন, আমি বাসে জানালার ডান পাশেই বসছিলাম, তারা ওই দিক দিয়েই আঘাত করে। তখন আমি হাতের কনুইর মধ্যে আঘাতপ্রাপ্ত হয়।

এ বিষয়ে কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস এম আরিফুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাদের অবগত করছে আমরা আসছি। যে ছেলেটা আপরাধী তাকে আমাদের হেফাজতে নিই। আর যারা যারা আঘাতপ্রাপ্ত তাদের নাম ঠিকানা নিছি। তারা যদি মামলা করে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, শহরে বহিরাগতরা আমাদের শিক্ষার্থী বাসে হামলা করে। তারই প্রেক্ষিতে আমাদের শিক্ষার্থীরা বহিরাগতদের মধ্য থেকে একজনকে ধরে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসে। নিয়ে আসার পর আমরা প্রক্টরিয়াল বডি পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় তাকে প্রক্টরিয়াল অফিসে নিয়ে আসি। পুলিশ প্রশাসন এবং আমাদের পক্ষ থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে।