ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪

সোমবার ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

কুমিল্লা পূর্বাশা ও মধুমিতা কচি-কাঁচার মেলার গৌরবের ৬০ বছর উদযাপন

Rising Cumilla - Celebrating 60 years of glory organized by Comilla Purbasha and Madhumita Kachi-Kachhar Mela
ছবি: প্রতিনিধি

গতকাল কুমিল্লা ঐতিহ্যবাহী শিশু-কিশোর সংগঠন কুমিল্লা পূর্বাশা ও মধুমিতা কচি-কাঁচা মেলার গৌরবের ৬০ বছর (১৯৬৪-২০২৪) “হীরক জয়ন্তী” উৎসব উদযাপন উপলক্ষে দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মধুমিতা কচি-কাঁচা মেলার শিশু সদস্য- সৌমিলি ভৌমিক, প্রধান অতিথি হিসেবে আসন অলংকৃত করেন- শিক্ষাহিতৈষী, সমাজ সেবক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের পৃষ্ঠপোষক ও কুমিল্লা পূর্বাশা ও মধুমিতা কচি-কাঁচা মেলার উপদেষ্টা- হোসনে আরা মালিক রানু, মঞ্চে আসন অলংকৃত করেন মধুমিতা কচি-কাঁচা মেলার পরিচালক- অনিমা মজুমদার, মধুমিতা কচি-কাঁচা মেলার উপদেষ্টা- মাহেরা খাতুন ও দিলদার সুলতানা ছবি, গৌরবের ৬০বছর “হীরক জয়ন্তী” উৎসবের আহবায়ক- ড. আলী হোসেন চৌধুরী।

অনুষ্ঠান শুরুতেই জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা ও কচি-কাঁচা মেলার পতাকা উত্তোলন করেন অনুষ্ঠানের সম্মানিত সভাপতি, সম্মানিত প্রধান অতিথি, পরিচালক, আহ্বায়ক, কুমিল্লা কচি-কাঁচা মেলার প্রাক্তন ভাই-বোন ও শিশু সদস্যবৃন্দ। আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই সূচনা সঙ্গীত আমরা কচি, আমরা কাঁচা দলীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে আলোচনা শুরু হয়।

আলোচনার শুরুতে আমন্ত্রিত সকল অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও উত্তরীয় পরিয়ে দেন কুমিল্লা পূর্বাশা ও মধুমিতা কচি-কাঁচা মেলার শিশু সদস্যবৃন্দ। আলোচনা পর্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গৌরবের ৬০বছর “হীরক জয়ন্তী” উৎসবের সদস্য সচিব- চন্দন দেব রায়। আলোচনা করেন শিশু বক্তা- মোঃ নুরাইজ হায়দার, সদস্য- পূর্বাশা কচি-কাঁচার মেলা ও হাদিকা ফাইরুজ, কর্মী বোন- মধুমিতা কচি-কাঁচার মেলা।

ছবি: প্রতিনিধি

গৌরবের ৬০বছর “হীরক জয়ন্তী” উৎসবের আহ্বায়ক- ড. আলী হোসেন চৌধুরী, মধুমিতা কচি-কাঁচা মেলার উপদেষ্টা- দিলদার সুলতানা ছবি ও মাহেরা খাতুন।

অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচা মেলার সভাপতি ড. রওশন আরা ফিরোজের শুভেচ্ছাপত্র পাঠ করেন-চন্দন দেব রায়, উপদেষ্টা- পূর্বাশা কচি-কাঁচার মেলা, গৌরবের ৬০বছর “হীরক জয়ন্তী” উৎসবের সম্মানিত প্রধান অতিথি- হোসনে আরা মালিক রানু এবং গৌরবের ৬০বছর “হীরক জয়ন্তী” উৎসবের সম্মানিত সভাপতি- সৌমিলি ভৌমিক।

অনুষ্ঠনে শিক্ষাহিতৈষী, সমাজ সেবক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের পৃষ্ঠপোষক ও কুমিল্লা পূর্বাশা ও মধুমিতা কচি-কাঁচা মেলার উপদেষ্টা- হোসনে আরা মালিক রানু’র উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছাপত্র পাঠ করেন- অপরাজিতা সৃষ্টি। শুভেচ্ছাপত্র পাঠ শেষে প্রধান অতিথির হাতে ক্রেস্ট, শুভেচ্ছাপত্র ও উপহার তুলে দেন পূর্বাশা ও মধুমিতা কচি-কাঁচা মেলার সংগঠক- মীর হোসেন ও যুগ্ম-সংগঠ- স্বর্ণা।

আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে গৌরবের ৬০ বছর “হীরক জয়ন্তী” উৎসবকে ঘিরে সঙ্গীত, নৃত্য, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি, দৌড় প্রতিযোগীতা, চকোলেট দৌড়, মিউজিক্যাল চেয়ার, ঝুড়িতে বল নিক্ষেপ এবং ব্যাটমিন্টন প্রতিযোগীতায় সকল বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরন করা হয়।

এ সময় কুমিল্লা পূর্বাশা ও মধুমিতা কচি-কাঁচা মেলার শ্রেষ্ঠ ভাই ও শ্রেষ্ঠ বোন পুরষ্কারে ভূষিত হয়- অনামিকা দাস প্রিয়ন্তী ও আনাসুল ইসলাম মজুমদার আলিফ। পুরষ্কার বিতরন শেষে সকলের মাঝে নাস্তা বিতরণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় “হীরক জয়ন্তী” অনুষ্ঠানের প্রথম পর্ব অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটির পরিচালনায় ছিলেন- লোকমান মিয়াজি, চিন্ময়ী আচার্য্য, ও রিয়া চক্রবর্তী। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন- পূর্বাশা ও মধুমিতা কচি-কাঁচা মেলার শিশু শিল্পীবৃন্দ।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে দুপুরের মধ্যাহ্ন ভোজনে অংশনেন মেলার সদস্যবৃন্দ ও অতিথিগন। সব শেষে অনুষ্ঠিত হয় স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান। স্মৃতিচারণ শেষে স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানের সভাপতি- মধুমিতা কচি-কাঁচা মেলার পরিচালক- অনিমা মজুমদার সারাদিন ব্যাপি গৌরবের ৬০ বছর “হীরক জয়ন্তী” অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।