ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪

শুক্রবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ে আম চাষে সম্ভাবনার হাতছানি

কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ে আম চাষে সম্ভাবনার হাতছানি
কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ে আম চাষে সম্ভাবনার হাতছানি। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা জেলার লালমাই পাহাড়ে বাড়ছে আমের চাষ। পাহাড়ের বড় ধর্মপুর, বারপাড়া, রতনপুরসহ বিভিন্ন এলাকার বাগানে থোকায় থোকায় ঝুলছে নানা জাতের আম। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আশাবাদ আগামী কয়েক বছরে পাহাড়ে আমের চাষ আরো বাড়বে।

কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার বারপাড়া এলাকায় একটি আমের বাগানে দেখা যায়, পাহাড় ও ঢালুতে এ বাগানের অবস্থান। বাগানের পরিমাণ দুই একর। চার থেকে পাঁচ হাত উঁচু আম গাছ। প্রতি গাছে কয়েকশত আম ঝুলছে। গাছে গাছে আম দেখে মনে হবে-আমের মেলা বসেছে। কিংবা কোন শিল্পী তার পটে ছবি এঁকে রেখেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা আসছেন বাগানের আম দেখতে। এ বাগানে হালকা বাতাসে দুলছে বারি-৪ আম।

বাগানের মালিক পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সাবেক কর্মকর্তা এআরএম হারিছুর রহমান ও তার স্ত্রী জোহরা নাছরিন বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত। তারা গাছের মরা ডাল ভেঙ্গে দিচ্ছেন। গাছে পানি দিচ্ছেন। আগাছা পরিষ্কার করছেন। এআরএম হারিছুর রহমান বলেন, এটা আমার গ্রামের বাড়ি। জায়গাটি খালি পড়ে ছিল। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের লোকজনের পরামর্শে বাগানটি করেছি। এ শুকনো মাটিতে এ আম হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। তাদের পরামর্শে পরিচর্যা করেছি। এ বাগান থেকে সাত বছর ফল সংগ্রহ করছি। আমার বাগান দেখে আরো কয়েকজন উদ্বুদ্ধ হয়েছে।

স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি অফিসার এম এম শাহারিয়ার ভূঁইয়া বাসসকে বলেন, বারি-৪ ওজনে ৫০০-৯০০ গ্রাম হয়ে থাকে। স্বাদ ভালো। কাঁচা পাকা উভয় অবস্থায় এটি মিষ্টি। আমাদের পরামর্শ মোতাবেক পরিচর্যা করায় তার বাগানের ফলন ভালো হয়েছে। তার দেখাদেখি অন্যরাও আগ্রহী হচ্ছেন। খবর: বাসস

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, বাগানটি পরিদর্শন করেছি। এ আম সবার শেষে বাজারে আসে। তাই বারি-৪ চাষ করে কৃষক লাভবান হতে পারবেন।