
কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় এজাহার উদ্দিন বাবলা নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছেন জানিয়ে পুলিশকে খবর দেন ঘাতক জান্নাতুন নাঈম।
শুক্রবার রাত ১২টার দিকে লালমাই উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের দতিয়ারপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত বাবলা (২০) সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার এলাকার চণ্ডিপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে। জান্নাতুন নাঈম (১৯) কুমিলার নাঙ্গলকোট উপজেলার ডলুয়াপাড়া এলাকার বিল্লাল হোসেনের মেয়ে। তারা উভয়ে লালমাই উপজেলার দতিয়াপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
শনিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম।
স্থানীয় ও এলাকা সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের পর থেকে ওই দম্পতির মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। শুক্রবার রাতে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জান্নাতুন নাঈম গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তার স্বামীর মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে আত্মহত্যার নাটক সাজানোর জন্য লাশ ঘরের সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে পুলিশকে খবর দেন ঘাতক নারী।
এ বিষয়ে লালমাই থানার ওসি শাহ আলম বলেন, লাশের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরে সন্দেহ হওয়ায় জান্নাতুন নাঈমকে আটক করে থানায় নিয়ে এলে তিনি ঘটনার দায় স্বীকার করেন। তাকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মামলার পর তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।