
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের উপজেলা পরিষদে প্রবেশ কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুশিয়ারি দিয়েছে উপজেলা ছাত্রদলের একটি অংশ। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলা পরিষদের সামনে আয়োজিত এক কর্মসূচিতে এই হুঁশিয়ারি দেন মেঘনা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. সোলাইমান।
তার এই বক্তব্যের পর থেকেই বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
মো. সোলাইমানের একটি ভিডিও বক্তব্যে তিনি বলেন, “বিগত সময়ে মেঘনা উপজেলা পরিষদে স্বৈরাচারী নেতাদের প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। নবাগত ইউএনওর সঙ্গে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার কোনো চেষ্টা আমরা অনুমোদন করব না। আমাদের নেতা ড. খন্দকার মারুফ হোসেনের নির্দেশে, যারা উপজেলা পরিষদে প্রবেশ করে প্রশাসনকে বিঘ্নিত করবে, তাদের কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।” এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের একাধিক নেতাকর্মী।
এদিকে, উপজেলা পরিষদের একাধিক চেয়ারম্যান জানান, তারা নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন এবং প্রশাসনের কার্যক্রমে কোনো ধরনের সমস্যা তৈরি করেননি।
এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
অন্যদিকে, মেঘনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুর রহমান স্পষ্ট করে জানান, সরকারের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যানদের উপজেলা পরিষদে প্রবেশ বা তাদের কার্যক্রমে অংশগ্রহণের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তিনি আরও বলেন, উপজেলা পরিষদে কোনো ধরনের নৈরাজ্য বা প্রশাসনকে বাধাগ্রস্ত করার মতো কোনো ঘটনা এখনও ঘটেনি।