জুলাই ২৭, ২০২৪

শনিবার ২৭ জুলাই, ২০২৪

কুমিল্লার মুরাদনগরে কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুুত ২০ হাজার

20,000 sacrificial animals are ready at Muradnagar in Comilla
কুমিল্লার মুরাদনগরে কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুুত ২০ হাজার। ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় প্রায় ২০ হাজার গরু-ছাগল প্রস্তুত করেছেন খামারিরা। গবাদি পশু সমৃদ্ধ এই উপজেলার ২২টি ইউনিয়ন তালিকাভূক্ত ছোট-বড় মিলিয়ে কৃষক ও মৌসুমি ব্যবসায়ীর খামারে এসব পশু পালন করা হচ্ছে। হাট-বাজারের চেয়ে অনেকেই খামারে কেনাবেচাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।

জানা গেছে, প্রতিবছর কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার কৃষক ও খামারিরা গরু, ছাগল মোটা-তাজাকরণে ব্যস্ত থাকেন। কোরবানী ঈদে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে গবাদি পশু জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি করেন খামারি, প্রান্তিক কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, দূর-দুরান্ত থেকেও ক্রেতারা এ উপজেলায় এসে স্থানীয় হাট-বাজার ছাড়াও খামার থেকে গরু কিনে নিয়ে যান। গত বছর ভারত থেকে পশু না আসায় দেশি গরুর চাহিদা ছিল ভাল। এ বছর কোরবানিকে সামনে রেখে দেশী গরু ও ছাগল মোটাতাজা করার শেষ পর্যায়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে ভাল দাম পাবেন এমনটাই প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, মুরাদনগর উপজেলায় স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩৭টির বেশি হাটে গবাদি পশু বেচাকেনা হবে। এছাড়া স্থানীয় বেপারিরা এলাকায় কৃষকদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে গরু ক্রয় করে বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করেন।

উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, মুরাদনগর উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১ হাজার গো-খামার রয়েছে। এবার এসব খামারে মোটা-তাজা করা হয়েছে ২০ হাজারের অধিক গরু। হাজারখানেক ছাগল ভেড়াসহ প্রান্তিক কৃষক ও মৌসুমি বেপারি পর্যায়ে ২০ হাজারের অধিক গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

উপজেলার পিপিড়িয়াকান্দা গ্রামের শাহিন ও হেলাল বলেন, আমাদের ফার্মে ৩০টি ষাঁড় গরু রয়েছে। এগুলোকে গম, খেসারি, মসুরীর ভুসি, খৈল, ধানের কুড়া শুকনো খর ও কাঁচা ঘাস খাওয়ানো হয়। এতে গরুগুলো থাকে স্বাস্থ্যবান ও প্রাণবন্ত। এখানে কোনো রকম স্টেরোয়েড ব্যবহার হয় না। আমাদের খামারে ২৩০ থেকে সাড়ে ৯০০ কেজি ওজনের গরু রয়েছে। ১২টি গরু খামার থেকেই বিক্রি করছি।

রাজাচাপিতলা গ্রামের আব্দুল মাঈন ও হাজী আবুল হাসেম বলেন, কোরবানিকে ঘিরে আমাদের খামারে ৪০টি গরু মোটাতাজা করে প্রস্তুত করা হয়েছে।

মুরাদনগর প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বলেন, এ বছর মুরাদনগর উপজেলায় ১৬ হাজার গবাদি পশুর চাহিদা রয়েছে। এ এলাকায় গবাদিপশু মোটা-তাজাকরণে কোন প্রকার ক্ষতিকর স্টেরোয়েড ব্যবহার হয় না। নিরাপদ গো-মাংস উৎপাদনের লক্ষ্যে আমরা কৃষক ও খামারিদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ, উদ্ধুদ্ধকরণ ও পরামর্শসহ মাঠ পর্যায়ে মনিটরিং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দীন ভূঁইয়া বলেন, গতবছর কোরবানিতে মুরাদনগরের ২২টি ইউনিয়নে ৩৭টি কোবানির পশুর হাটবাজার বসেছিল। এ বছর পশুর হাট বাড়তে পারে। বিভিন্ন হাটে যেসব পশু বাজারজাত করা হবে, সেসব পশু সবল কিংবা রোগাক্রান্ত কিনা তা নিণয়ের জন্য প্রতিটি পশুর হাটে আমাদের মেডিকেল টিম কাজ করবে।